হাসপাতাল থেকে করোনা রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের রেডজোন থেকে ভারত ফেরত করোনা রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। চু কনসালটেন্ট হিমাদ্রি শেখরের নেতৃত্বে গঠিত ৩ সদস্যের একটি কমিটি গতকাল সকালে হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। তদন্ত বোর্ডের সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করছেন যশোর মেডিকেল কলেজের শিশু (পেডিয়াটিক) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ইমদাদুল হক। সদস্য হলেন- কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. তৌহিদুল ইসলাম। গত ২৭ এপ্রিল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার রায় ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করে এ কমিটি গঠন করেন।
সাপ্তাহিক ও মে দিবসের ছুটি থাকার কারণে গতকাল তদন্ত কাজ শুরু করেন। প্রথম দিনে ১ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক, ৭ জন সেবিকা ও কর্মচারীসহ ১২ জন তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে তদন্ত বোর্ডের সদস্য সচিব ডা. মো. ইমদাদুল হক রাজু জানিয়েছেন, তিনি বলেন, তদন্ত কেবল শুরু হয়েছে। শেষ হতে সময় লাগবে। এখনো সিনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন। যারা রেড জোন থেকে চলে গিয়েছিলেন তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদেরও বক্তব্য নিতে হবে। সব মিলে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হতে সময় লাগবে।
গত ২৩ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত ভারত ফেরত যে সকল রোগীকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল, তাদের ভেতর ৭ জন নিজ নিজ গন্তব্যস্থানে চলে যান। পরদিন ছাড়পত্র খাতায় তাদের পলাতক দেখানো হয়। এর আগে ১৮ এপ্রিল হতে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত আরও ৩ জন করোনা রোগী ছাড়পত্র ছাড়াই হাসপাতাল ত্যাগ করেন। তাদেরকেও পলাতক উল্লেখ করা হয় ছাড়পত্র খাতায়। সব মিলে মোট ১০ জন রোগী পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার খবর দৈনিক লোকসমাজের প্রথম প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয় এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুরু হয় রোগী উদ্ধার অভিযান। যশোরসহ ৪ জেলার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই রোগীদের উদ্ধার করেন এবং যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি করেন। এরপর গঠিত হয় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। রোগী পালিয়ে যাওয়া এবং পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর রেড জোনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বাড়ানো হয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি।