নাভারণ (যশোর) সংবাদদাতা ॥ টানা সাত মাস বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচন্ড দাবদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে যশোরের শার্শা উপজেলার মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়ের পানি শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমসহ নানা ধরনের ফল। পানির অভাবে সর্বত্র চলছে হাহাকার। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গোসল ও সুপেয় পানির। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুন নিচের নেমে গেছে।
শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, স্বাভাবিক সময়ে পানির স্তর মাটির ১৬ ফুট নিচে থাকে। কিন্তু এখানে বেশ কিছু এলাকায় পানির স্তর বর্তমানে ২৫ থেকে ৪০ ফুট নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপে পানি উঠছে না। চৈত্র বৈশাখ মাস এলেই শার্শার বাগআঁচড়া, কায়বা, উলশী, পুটখালী, গোগা ইউনিয়নের প্রায় সকল গ্রামের অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে। এ সময়টাতে গোটা যশোরেই পানির সংকট দেখা যায়। এবার মনে হয় সংকট অন্যবারের তুলনায় একটু বেশি।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে জমিতে সেচ দেবার কারণে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। স্থানীয়ভাবে খাল-বিল তালিকাভূক্তির কাজ চলছে। জেলা প্রশাসকের কাছে এগুলো খনন করার প্রস্তাব পাঠানো হবে। নদী ও খালে পানি ধরে রাখতে পারলে এবং ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে পারলে সেচ মৌসুমে পানির নিচের স্তর ধরে রাখা সম্ভব হবে।