যশোরে ভায়নার দস্যুতা মামলায় পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর সদরের ভায়না গ্রামের কালিদাসের বাড়িতে দস্যুতার ঘটনায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, রাজবাড়ি সদরের বিনোদপুর গ্রামের ময়নাল শেখের ছেলে রাজিব আলী শেখ, কোলা গ্রামের মৃত ধীরেন্দ্র নাথ কর্মকারের ছেলে গৌর কর্মকার, বানীদহ গ্রামের মৃত ভবতোষ চন্দ্র কর্মকারের ছেলে তপন কর্মকার, মাগুরা শালিখা থানার হাজরাহাটি গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে মাসুদ মোল্লা ওরফে ডাকাত মাসুদ ও যশোর সদরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল কাদের দফাদারের ছেলে মাসুম বিল্লা ওরফে হেলাল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর সদরের ভায়না গ্রামের কালিদাস ও হরিদাস অধিকারীর বাজারে মুদি দোকান আছে। ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে
বাজার কমিটির অন্যান্য সদস্যের সাথে পাহারা দিচ্ছিলেন হরিদাস। রাত ৩টার দিকে বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙে মুখোশধারী একদল লোক ঘরের ভেতরে ঢুকে হরিদাসের স্ত্রী
কনিকা রানী অধিকারীর গলায় ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে জিম্মি করে। পরে তার ঘরের আলমারি ভেঙে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ও ১০ ভরি সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায় তারা। এরপর শাবল দিয়ে পাশের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ও তার ভাই কালীদাস অধিকারীর ঘরে ঢুকে বাড়ির লোকজনকে মারধর করে গামছা দিয়ে হাতপা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এ সময় তার ঘর থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার, টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও দুই ঘর থেকে কাপড়সহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় তারা।
পরে বাড়ির লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করলে হারিদাসসহ বাজারের পাহারাদাররা ছুটে আসে এবং বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা জানতে পারেন। এ ব্যাপারে হরিদাস অধিকারী অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি দস্যুতার অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকালে পুলিশ সোনা কেনার অভিযোগে গৌরি কর্মকার ও রাজিবকে আটক ও সোনা উদ্ধার করে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে ঘটনার সাথে জড়িত ও অপর জাড়িতদের নাম উল্লেখ করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ওই ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত তপন কর্মকারকে পলাতক দেখানো হয়েছে।