মোরেলগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে খাবার পানি সরবরাহ শুরু

0

শামীম আহসান মল্লিক, মোরেলগঞ্জ ॥ মোরেলগঞ্জের খাবার পানির তীব্র সংকট মোকাবেলায় উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট চালু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহযোগিতায় চালু হওয়া এই প্লান্টের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধ করে জনগণের মাঝে খাবার পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। এ প্লান্টের সাহায্যে উপজেলার বিভিন্ন স্পটে খাবার পানি বিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হবে। প্লান্টে ঘন্টায় ৬০০ লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব বলে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান। একই সময় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ন্যানো টেকনোলজি ফিল্টারও চালু করা হয়েছে। এই ন্যানো টেকনোলজি ফিল্টার ঘণ্টায় ৩০০লিটার পানি সরবরাহ করতে সক্ষম।
গতকাল শনিবার বেলা তিনটায় এটির উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহ আলম বাচ্চু। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন , পৌর মেয়র মনিরুল হক তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, জেলা পরিষদ সদস্য আফরোজা আক্তার লিনা, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম এবং উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ন্যানো টেকনোলজি ফিল্টার সর্বদা চালু রাখার ক্ষেত্রে পানির উৎসই হচ্ছে প্রধান সমস্যা। পানির উৎস হিসেবে যে পুকুর আছে তার পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে। যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়াটার প্লান্টের মাধ্যমে উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্পটে ধারাবাহিকভাবে পানি সরবরাহের কাজ চলবে। খাবার পানির তীব্র সংকটে ইতিমধ্যেই এলাকায় ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় খাবার পানির সংকটে এই প্লান্টের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সংকট সমাধান করা গেছে বলে উপজেলা প্রশাসনের দাবি।
উল্লেখ্য শুষ্ক মৌসুমে উপজেলার সমস্ত পুকুরগুলো শুকিয়ে যায়। এবার দীর্ঘ সময় অনাবৃষ্টির কারণে পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। এদিকে উপকূল এবং সুন্দরবন বেষ্টিত এই এলাকাটি নলকূপ অধিক মাত্রায় আর্সেনিক এবং আয়রণের ফলে প্রায় অকার্যকর। পিএসএফগুলোও প্রয়োজনীয় সংস্কারের ফলে নষ্ট হয়ে আছে। ফলে এখানে খোলা পুকুরের পানি খাওয়া হয়। একারণে ইতোমধ্যে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে । উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা যায় গত ১০ দিনে ৭০ জনেরও বেশি বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মোরেলগঞ্জের প্রধান সমস্যা খাবার পানির। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন এলাকা