পিতার অভিযোগে পুত্র আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে পিতার অভিযোগে এক পল্লী চিকিৎসককে আটক করেছে যশোরের ঝিকরগাছা পুলিশ। ঘটনাটি উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের। পিতা আব্দুল জলিলের (৬০) অভিযোগের ভিত্তিতে পুত্র পল্লী চিকিৎসক নাসিরউদ্দীনকে থানা পুলিশ শুক্রবার বিকালে আটক করে। শনিবার ফৌজধারী ১৫১ ধারায় তাকে আদালতে নেয়া হলে সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযোগে পিতা আব্দুল জলিল উল্লেখ করেছেন, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কারণে-অকারণে নাসিরউদ্দীন তাকে ও তার মা রোজিনা বেগম (৫৫) কে মারপিট করে। এনিয়ে শিত্তরদাহ পুলিশ ফাঁড়িতে কয়েকবার শালিশ হয়েছে। সেখানে প্রশাসনের কাছে নাসিরউদ্দীন মুচলেকা দিয়ে আসে, কিন্তু বাড়ি ফিরে আবারও একই কাজ করে। গত বৃহষ্পতিবার সকালে তাদের বাড়িতে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাসিরউদ্দীন তার পিতা-মাতা ও বোন পারভীন আক্তার(৩০)কে দা নিয়ে কুপাতে আসে। এসময় তারা দৌড়ে পালিয়ে গেলে তাদের থাকার ঘরে তালা দিয়ে দেয়। এবং বাড়িতে ফিরলে তাদের দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার হুমকি প্রদান করেন। বিষয়টি মৌখিকভাবে শিত্তরদাহ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুল মালেক ও এএইআই ওহিদুল ইসলামকে স্থানীয়রা জানালে তারা এসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে শনিবার সকালে ভুক্তভোগী পিতা-মাতা ও বোন ঝিকরগাছা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পিতা আব্দুল জলিলের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে থানা পুলিশ নাসিরউদ্দীনকে তার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ আরো উল্লেখ করেন, ওই দিন তাদের ঘরে ঢুকে নাসিরউদ্দীন ২টি স্মার্ট ফোন ও তার বোনের ব্যাগ থেকে ২৬ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে।
ঘটনায় ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক ফোর্স পাঠিয়ে শুক্রবার বিকালে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ পর্যন্ত পুলিশ তাকে নিয়ে ৬বার শালিশী নিষ্পত্তি করেছে। সংশোধন হওয়ার জন্য তাকে বারবার সুযোগ দেয়া হয়ে কিন্তু নিজেকে বদলাতে পারেনি। তার নামে চাকুরী দেয়ার নামে অর্থ আতœস্বাত, নারী কেলেংকারীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।