ঝিনাইদহে ইমরান হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঁদাবাজি ও লুটপাট

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহে গ্রাম্য মারামারিতে মারা যান ইমরান নামে এক যুবক। এর পর প্রতিপক্ষের বাড়িসহ বেশকিছু বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় গরু। বাড়িছাড়া হন অনেকে। এখন বাড়িতে উঠতে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। যারা চাঁদা দিয়েছেন তারা বাড়ি উঠেছেন।
জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সলিশ বৈঠকে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে মারামারিতে আহত হন ঝিনাইদহের পাকা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে ইমরান হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ এজাহারভুক্ত ৩ জন আসামিকেই গ্রেফতার করে। আসামি গ্রেফতার হলেও হত্যাকে পুঁজি করে অসহায় পরিবারদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করা হচ্ছে। নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গরু, ছাগল।
ভুক্তভোগী সেবেরা খাতুন বলেন, আমরা এসব ঘটনার কিছু জানি না। আমাদের মত অসহায় পরিবারের গরুও নিয়ে গেছে। একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, ইমরান মারা যাওয়ার পর তার বাবা আব্দুল মালেক হত্যা মামলা নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছেন। আব্দুল মালেক একই এলাকার জুয়েল, মান্নান, আছালত. তকব্বার, সাব্দাল, সাঈদসহ অসহায়দের ওপর নির্যাতন করছেন। বাড়িতে উঠতে হলে তাদের মোটা অংকের টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে।
এ ঘটনার পর এখনও বাড়ি ছাড়া পাকা গ্রামের শফিউদ্দিন, আলেক, বাদশা, মজিদ, ফরিদ, ভুট্টোসহ বেশ কয়েকজন। চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করে নিহত ইমরানের বাবা আব্দুল মালেক বলেন, ছেলে হত্যার পর কিছু গরু-বাছুর আমাদের লোকজন নিয়ে এসেছিল। সে সময় পুলিশের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি করা হচেছ না। যারা বাড়িতে আসছেন না তারা বাড়িতে আসুক। তাদের কেউ কিছু বলবে না। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, ইমরান হত্যার ঘটনায় মামলা হলে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। লুটপাট ও চাঁদাবাজির বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।