লোকসমাজ ডেস্ক॥রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আবাসিক ভবন ও নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকবাণী দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শনিবার এক শোকবাণী জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘২৩ এপ্রিল ভোর রাত ৩টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় হাজী মুসা ম্যানসন নামে একটি আবাসিক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ আগুনে চারজনের মৃত্যু ও ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আগুনে যাদের মৃত্যু হয়েছেন আমি তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করছি, তিনি যেন তাদেরকে শহীদের মর্যাদা দান করেন।
শোকবাণীতে আরো বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ১১জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দু’টি ঘটনায় যারা গুরুতর আহত হয়েছেন আমি মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার কাছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, পুরান ঢাকায় কিছু দিন পর পরই আগুন ও বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। ইতোপূর্বে ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে অবৈধভাবে পরিচালিত কেমিক্যালের গুদামে আগুন লেগে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুরিহাট্টা এলাকায় ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়।
শোকবাণীতে উল্লেখ করা হয়, বারবার ভয়াবহ আগুনের পরও পুরান ঢাকায় বন্ধ হয়নি রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের ব্যবসা। সরানো হয়নি কেমিক্যাল গুদাম। অবৈধ প্লাস্টিক কারখানাগুলো এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাসা-বাড়িতে এ সকল রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের ব্যবসা পরিচালনা করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ না করার কারণেই বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
জামায়াত সেক্রেটারি আরমানিটোলায় আগুনে মৃত্যু পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আরমানিটোলা ও নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।