হাসপাতালের লাশ রাখা ঘর কাজ করছে না : ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ময়না তদন্তে সহায়তার জন্যে সরকারি কোন ডোম নেই। মরচুয়ারিটিও (মরদেহ হিমাগার) নষ্ট হয়ে গেছে। লাশ রাখলেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন একটি মরচুয়ারি দেয়ার জন্য জেলা পরিষদে চিঠি লিখেছেন।
সূত্র জানিয়েছেন, প্রতি মাসে হাসপাতাল মর্গে প্রায় একশটি লাশের ময়না তদন্ত হয়। এসব লাশের ময়না তদন্ত করতে হলে প্রয়োজন হয় ডোমের। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালে সরকারি কোন ডোম নেই। লক্ষন নামে একজনকে লাশ কাটার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। চিকিৎসকের পাশে থেকে লাশ কাটার কাজে সহযোগিতা করছে লক্ষণ কুমার। তার পিতা গোবিন্দ দাস কয়েকদিন আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গোবিন্দ দাস ছিলেন সরকারি ডোম। পিতার মৃত্যুর পর লক্ষণ এখন লাশ কাটার দায়িত্ব নিয়েছে। তবে লাশ কাটার অভিজ্ঞতা তার কম। গোবিন্দ দাসের মৃত্যুতে ডোমের পদটি শূন্য হওয়ার লক্ষন লাশ কাটার দায়িত্ব পালন করছে। এতে ময়না তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই সাথে মর্গে থাকা মরচুয়ারি এখন আর চলছে না। মরচুয়ারিতে লাশ সংরক্ষণ করা হলে কয়েকদিনের মধ্যেই পচন ধরে দুর্গন্ধে ছড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবার কাজে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। কয়েকবার মরচুয়ারি খারাপ হয়ে পড়লে তা মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু মেরামত কাজটি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। এ অবস্থায় যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলীপ কুমার নতুন একটি মরচুয়ারি স্থাপন করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন।