আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পরিচয়ে ওরা কারা ছিলেন?

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত বুধবার দিবাগত রাতে যশোর শহরের শংকরপুরে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কতিপয় ব্যক্তির সাথে ডিউটিরত পুলিশিং কমিটির কর্মীদের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। আইডি কার্ড প্রদর্শনের পরও সাদা পোশাকের ওই ব্যক্তিরা পুলিশিং কমিটির কর্মীদের নানাভাবে নাজেহাল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ডিবি পুলিশ বলছে, ওই রাতে তারা শংকরপুরে যায়নি। অপরদিকে কোতয়ালি থানা পুলিশেরও দাবি, সাদা পোশাকে তারা কোথাও যায়নি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, গাড়িতে থাকা সাদা পোশাকের ব্যক্তিরা আসলে কারা?
শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া শান্তি-শৃঙ্খলা পুলিশিং কমিটির কয়েকজন কর্মী জানান, রাত পৌনে তিনটার দিকে তারা এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকে কতিপয় ব্যক্তি একটি মাইক্রোবাসে করে সেখানে আসেন। তাদের হাতে লাঠিসোটা ছিলো। কিন্তু তাদের কারোর গায়ে ডিবি পুলিশ অথবা সাধারণ পুলিশের পোশাক পরা ছিলো না। তবে তারা ভেবে নিয়েছিলেন যে, গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা হয়তো ডিবি পুলিশ। গাড়ি থেকে নেমে ওই ব্যক্তিরা তাদের কাছে রাতে ঘোরাফেরার কারণ জানতে চান। জবাবে তারা পুলিশিং কমিটির দেয়া আইডি কার্ড প্রদর্শন করে বলেন, এলাকায় টহল দিচ্ছেন। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। আইডি কার্ড নকলও হতে পারে বলে তাদের ধমকান তারা। ফলে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। গাড়ি থেকে লাঠি হাতে নেমে এ সময় কয়েকজন পুলিশিং কমিটির কর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ভয়ভীতি দেখান। এরপর সাদা কাগজে কর্মীদের স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে তারা সেখান থেকে চলে যান। সূত্র জানায়, ওই গাড়ির ভেতর শংকরপুর এলাকার ইমন নামে এক যুবককে দেখতে পাওয়া গেছে। ইমন শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার ছোটবাবুর ভাগ্নে।
শংকরপুর জমাদ্দারপাড়া শান্তি-শৃঙ্খলা পুলিশিং কমিটির সেক্রেটারির দায়িত্বে থাকা রবি মোল্লা জানান, তিনি কর্মীদের কাছ থেকে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর শুনে তাদেরকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
ডিবি পুলিশির ওসি সোমেন দাশ এ বিষয়ে জানান, রাতে তাদের কোন টিম শংকরপুর এলাকায় যায়নি।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, তাদের একাধিক টিম শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল ডিউটি পালন করে। তবে রাতে পোশাক ছাড়া কেউ ডিউটিতে ছিলেন না।