বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার জড়িয়ে’ স্ট্যাটাস কেশবপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদককে বহিস্কার করলেন সভাপতি # জেলা শাখার সভাপতি বললেন,যথাযথ হয়নি

0

‘স্টাফ রিপোর্টার, কেশবপুর (যশোর)॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার জড়িয়ে’ স্ট্যাটাস দিয়ে সাময়িক বহিস্কার হলেন যশোরের কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা। বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএম রুহুল আমিন।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে কেন্দ্রকে অবহিত করতে হবে। একমাত্র কেন্দ্রই বহিস্কার করতে পারবে। জেলা কিংবা উপজেলা কমিটির বহিস্কার করার সুযোগ নেই। গাজী গোলাম মোস্তফার বরখাস্তের বিষয়ে আমার জানা নেই। উপজেলা সভাপতি বহিস্কার করলে সেটি যথাযথ হয়নি।
গতকাল (২২ এপ্রিল) কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রহুল আমিন স্বাক্ষরিত ওই সাময়িক বহিস্কার আদেশের চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজী গোলাম মোস্তফা তার ফেসবুকে ২২ এপ্রিল রাত ১টা ৩৪ মিনিটে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যা তাৎক্ষণিকভাবে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যশোর-৬ ( কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার (সভাপতি, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ) দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। স্ট্যাটাসটি নি¤œরুপ ‘‘অভিশপ্ত এক মঞ্জিলে শেখ পরিবারের এক সদস্যের রাত্রিযাপন !!!!!! কি এমন কারণ!!!!! তার নিচে একজনের মুখে টেপ আটা।’’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের জড়িয়ে এহেন কুরুচিপূর্ণ, চাঞ্চল্যকর ও বিভ্রান্তিমূলক মোবাইল স্ট্যাটাস প্রদান করা দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে দলের শৃংখলার পরিপন্থী এবং দলকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়ার হীন চক্রান্ত বলে বিবেচিত হওয়ায় আপনাকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হল।
এব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু বা তাঁর পরিবারের কাউকে জড়িয়ে পোস্ট দেয়া হয়নি। যে আদর্শে আমি ৪০ বছর রাজনীতি করি সে আদর্শ নিয়ে পোস্ট দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি বলেন, গত কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনের আগে থেকে তার বিরুদ্বে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সামনে কেশবপুরে দলের কাউন্সিল অধিবেশন, এর আগেই আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি আমি ।
তিনি আরও বলেন, ২০০২ সালে আমি দলের জয়েন্ট কনভেনার হই। আর ২০০৩ সালের ২৫ মে দলের উপজেলা কাউন্সিল অধিবেশনে আমি দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী সেটিংয়ের বিষয় আছে। সে কারণে আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।