স্টাফ রিপোর্টার, মনিরামপুর (যশোর) ॥ যশোরের মনিরামপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’টি মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় এক’শ মণ মাছ মরে গেছে। গত সোমবার রাতে মনিরামপুর উপজেলার বাকোশপোল গ্রামের হাজরাপাড়ার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিক তপন কুমার দাস ও শহিদুল হকের দাবি, পূর্ব শক্রতার জের হিসেবে প্রতিপক্ষ সুব্রত বেদনাথ ও তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে তারা মঙ্গলবার সুব্রত দেবনাথ ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন জানান, বাকোশপোল গ্রামের হাজরাপাড়ার মাঠের মধ্যে সনৎ দেবনাথ ও তার শরিকদের কাছ থেকে এক একর ১৩ শতক জমি লিজ নিয়ে গত জানুয়ারি মাসে মাছের ঘের করেন তপন কুমার দাস। আর পাশেই সাবেক ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে ৮৪ শতক জমি লিজ নিয়ে অপর ঘেরটি করেন শহিদুল হক। ঘের করার পর তারা মাছ চাষ শুরু করেন। অভিযোগ রয়েছে, এই ঘের নিয়ে ইতিপূর্বে সুব্রত দেবনাথের সাথে তপন দাসের বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মীমাংশা হয়। কিন্তু সুব্রত দেবনাথ বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। তপন দাসের অভিযোগ, পূর্ব শক্রতার জের ধরে সুব্রত দেবনাথ ও তার লোকজন সোমবার রাতে ওই ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে। অপর ঘের মালিক শহিদুল হক জানান, ঘের নিয়ে ইতিপূর্বে বিবাদের সময় তিনি তপনের পক্ষ অবলম্বন করার প্রতিশোধ হিসেবে সুব্রত দেবনাথ তার ঘেরেও সোমবার রাতে বিষ প্রয়োগ করেন। এতে ঘের দু’টির প্রায় এক’শ মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে পানিতে ভেসে ওঠে। দু’টি ঘেরে মোট ক্ষতি হয়েছে চার লাখ টাকা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সুব্রত দেবনাথ জানান, তপন দাস ও শহিদুল হক এলাকায় অনেক ঋণগ্রস্ত। ফলে পাওনাদারদের ফাঁকি দিতে পরিকল্পিতভাবে তারা ঘেরে বিষ প্রয়োগ করতে পারেন। তবে সুব্রতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তপন দাস ও শহিদুল হক।
মনিরামপুর থানা পুলিশের ওসি (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিক তপন দাস ও শহিদুল হক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।