বাজারে উচ্চ দরে সংকটে কলারোয়ার নিম্নবিত্তের মানুষ

0

কে. এম.আনিছুর রহমান,কলারোয়া (সাতক্ষীরা) ॥ রোজা ও লকডাউনের সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বাজার ব্যবস্থাপনায় চরম নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। ফলে আর্থিক সংকটগ্রস্ত কর্মহীন রোজাদার মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ধান কাটার আগে মাঠে তেমন কাজকর্ম নেই। ফলে দিনমজুর শ্রেণির মানুষ মারাত্মক ভাবে আর্থিক সংকটে পড়েছে। লকডাউনের কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে চরম মন্দা বিরাজ করছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে নি¤œ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ। তারা ক্ষেত খামারে কাজ করে পয়সা আয় করতে পারে না। আবার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। লকডাউনের জন্য ক্রেতা না থাকার অজুহাতে নি¤œমধ্যবিত্ত শ্রেণির উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না।
স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য কলারোয়ার পাইকারি হাটগুলোতে ১৫ টাকা কেজি দরে পটল, ৩০ টাকা কেজি দরে উচ্ছে, ২৮ থেকে ৩৫ কেজি দরে বেগুন বেচাকেনা চলছে। খুচরা বাজারে সেই পটল ৩০ টাকা, উচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বেচাকেনা হচ্ছে। এদিকে ভিন্ন এলাকা থেকে আগত পণ্য সামগ্যীর মধ্যে ২/৩ গুণ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শসা ও তরমুজের। ২০ টাকা কেজির শসার দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ টাকা এবং ২০ টাকা কেজির তরমুজের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে ১৪ টাকা কেজি দরের আলু ১৬ টাকা, পুঁইশাকের আঁটি ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা, শাকের ডাটা ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ টাকা, কাঁচকলা কেজিতে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে পেঁয়াজের কেজিতে ৫ টাকা, রসুন ১০ টাকা, আদা ৩৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হলে অন্যান্য মসলার দাম বাড়বে বলে খুচরা ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছে। সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। ৫শ টাকা কেজির গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭শ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৮শ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।