রোজায় শরীর পানিশূন্য হচ্ছে, বুঝবেন যেসব লক্ষণে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥সারাদিন উপবাস থাকার কারণে রোজায় শরীর হয়ে পড়তে পারে পানিশূন্য। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না করা হয়; সেক্ষেত্রে পানিশূন্যতার লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরে।
গরমে এমনিতেই ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। রোজার সময় সারাদিন পানি পান না করায় শরীরে পানিশূন্য দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজার সময় ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা সবার জন্যই জরুরি।
শরীরের প্রতিটি কোষ, অঙ্গ ও টিস্যু পানির ওপরই নির্ভরশীল। সুস্থ থাকতে পানির বিকল্প নেই। এ কারণে শরীরে পানির ঘাটতি হলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণ ও এর প্রতিরোধের উপায় জেনে নিন-
>> সারাদিন যদি আপনি মাথাব্যথায় কষ্ট পান; তাহলে বুঝতে হবে শরীরে পানির ঘাটতি হয়েছে। শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়লে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও রক্ত প্রবাহ কমে যায়। এ কারণে মাথা ব্যথা ও মাথা ঝিমঝিম করতে পারে।
>> মুখে দুর্গন্ধ হওয়া হলো আরও একটি লক্ষণ। পানিশূন্যতা হলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। পানির ঘাটতি হলে শরীর লালা কম উৎপাদন করে। এর কারণে মুখে ব্যাকটেরিয়া বেশি তৈরি হয় এবং মুখে দুর্গন্ধ হয়।
>> শরীরে পানিশূ্যিতার সৃষ্টি হলো কোনো কাজে মনোযোগ কমে যায়। মানুষের মস্তিষ্কের ৯০ ভাগই পানি দিয়ে তৈরি। তাই পানির ঘাটতি হলে মস্তিষ্কে এর প্রভাব পড়ে। পানিশূন্যতা স্মৃতি, মেজাজ ও সীদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে।
>> রোজার এ সময় যদি আপনি কোষ্ঠাকাঠিন্যে ভুগে থাকেন; তাহলে বুঝতে হবে পানিশূন্যতায় ভুগছেন আপনি। শরীরে যথেষ্ট পানি থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না। এ ছাড়াও পানিশূন্যতার কারণে বুক জ্বালাপোড়া ও হজমের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে।
>> পানিশূন্যতার আরও একটি লক্ষণ হলো প্রস্রাবের রঙের পরিবর্তন। প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হলে বুঝতে হবে শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে।
>> সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়তেই পারে। তবে হঠাৎ অবসন্ন বা ক্লান্ত বোধ করা শরীরে পানির ঘাটতির অন্যতম একটি লক্ষণ।
>> ঠোঁট, মুখ, জিহ্বা ও গলা শুকিয়ে আসতে পারে পানিশূন্যতা হলে। নিয়মিত এ সমস্যাগুলো দেখা দেওয়ার কারণ হতে পারে পানিশূন্যতা।
পানিশূন্যতা দূর করতে যা করবেন-
>> প্রতিদিন ইফতার ও সাহরি পর্যন্ত কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
>> খাদ্যতালিকায় রাখুন পানি জাতীয় সবজি ও ফল। যেমন- তরমুজ, শসা, টমেটো, আনারস ইত্যাদি।
>> ডিটক্স ওয়াটার পান করতে পারেন। এতে শরীরের দূষিত পদার্থও বের হয়ে যাবে।