স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরে তরুণীকে ব্ল্যাকমেইলিং ও চাঁদাদাবির মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানা পুলিশের এসআই সেকেন্দার আবু জাফর।
অভিযুক্তরা হলেন, নড়াইল সদর উপজেলার চুনখোলা গ্রামের টুটুল বিশ্বাসের ছেলে সোহাগ হোসেন, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার তরফ মাহমুদপুর গ্রামের মোবাশ্বের আলী খানের ছেলে কুদ্দুস আলী ও আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে সুমন হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের নীলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী ২০২০ সালের ২ মার্চ তার মোবাইল ফোনসেট মেরামতের জন্য আরএন রোডস্থ ‘দি মোবাইল স্টোর’ নামক দোকানে যান। তিনি দোকানের ম্যানেজার সোহাগ এবং সেলসম্যান সুমনের কাছে মোবাইল ফোনসেটটি মেরামত করতে দেন। এ সময় মোবাইল মেরামতের জন্য তার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড প্রয়োজন বলে চেয়ে নেন তারা। পরে মোবাইল ফোনসেট মেরামত শেষে বাড়িতে চলে যান তরুণী। এ ঘটনার পর রাফি শেখ নামে একজনের ফেসবুক আইডি থেকে ওই তরুণীর আইডিতে একটি মেসেজ পাঠানো হয়। এরপর একই বছরের ২৪ আগস্ট আসামি সুমনের আইডি থেকে ওই তরুণীর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মেসেজ পাঠানো হয়। চাঁদা না দিলে তার গোপন তথ্য ফাঁস, ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন এবং কুরুচিপূর্ণ কথা লিখে মানসম্মানের ক্ষতি করবে বলে হুমকিও দেয়া হয়। এ ঘটনায় উল্লিখিত তিনজনকে আসামি করে ৩ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় চাঁদাদাবি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন তরুণী। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ আসামিদের আটক করে। এর মধ্যে আটক সোহাগ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তদন্ত শেষে উল্লিখিতদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।