পাকিস্তানে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভে ৪ জন নিহত, পুলিশ সদস্য জিম্মি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥পাকিস্তানের পুলিশ জানিয়েছে, একটি কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন লাহোরে তাদের সদর দফতরে ছয়জন পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করে রেখেছে। এদিকে, তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) নামে সংগঠনটি দাবি করেছে, রোববারের বিক্ষোভে তাদের চারজন সমর্থক নিহত হয়েছেন। খবর রয়টার্স।
মহানবী (সা.) এর কার্টুন প্রকাশ করার জেরে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে পাকিস্তান থেকে বহিষ্কারের দাবিতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছে টিএলপি। এ নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে আসছে টিএলপির সমর্থকরা।
এ ঘটনায় সরকার টিএলপির নেতাকে গ্রেফতার করে। এরপর বিক্ষোভ আরও চরম আকার ধারণ করেছে।
কয়েকদিন ধরে চলা এ বিক্ষোভে অন্তত চারজন নিহত ও শত শত বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। এছাড়া হাজারেরও বেশি বিক্ষোভারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সহিংসতার পর টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার।
লাহোর পুলিশের মুখপাত্র আরিফ রানা বলেছেন, টিএলপি সমর্থকদের দ্বারা জিম্মিকৃত ছয়জনের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও প্যারামিলিটারি বাহিনীর দুইজন সদস্য রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘টিএলপি কর্মীদের কাছে কয়েক হাজার লিটারভর্তি দুটি পেট্রোল ট্যাঙ্কার রয়েছে। তারা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পেট্রোল বোমা, পাথর ও গুলি ছুড়ছে যাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ জন সদস্য আহত হয়েছেন।’
টিএলপির মুখপাত্র শফিক আমিনি রয়টার্সকে বলেছেন, রোববার তাদের সংগঠনের চারজন সদস্য পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
গত সপ্তাহে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে পাকিস্তানের চ্যানেলগুলোকে ওই সংগঠনের কাভারেজ প্রচার করতে দেয়া হচ্ছে না। রোববার সংঘর্ষের এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ ব্যহত হচ্ছে।
লাহোরের চক ইয়াতিমকাহানে টিএলপির সদর দফতরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে সমর্থকরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন। সংগঠনটিকে সমর্থন করে হ্যাশট্যাগ এখন পাকিস্তানের ট্রেন্ডিং-এ আছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত। বাতাসে টিয়ার গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। অন্য ভিডিওতে দেখা যায়, আহত বিক্ষোভকারীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শনিবার বলেছেন, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ ‘এরা রাষ্ট্রের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছে ও রাস্তায় সহিংসতা করেছে এবং জনগণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে।’
গত সপ্তাহে ফ্রান্স তাদের নাগরিকদের সাময়িকভাবে পাকিস্তান ত্যাগের অনুরোধ জানিয়েছে।