শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা করে বিপাকে এক গৃহবধূ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোর উপশহরে শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা করে বিপাকে পড়েছেন গৃহবধূ অলিমা হাসান। স্বামী, শিশু সন্তানসহ তাকে বের করে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শ্বশুর হারুন-অর-রশিদ বর্তমানে কারাবন্দী। শাশুড়ি ও ভাসুরের তোপের মুখে পড়েছেন তারা। স্বামী ইনামুল হাসান শিশুপুত্র নূর হাসান ও ইমতিয়াজ হাসান (৬)কে নিয়ে তিনি এখন গৃহহীন। উপশহরের ৭ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা অলিমা হাসান বলেন, স্বামী ইনামুল হাসান ব্যবসায়ীক কারণে বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন। শ্বশুর এই সুযোগে তাকে শরীর ম্যাসেস করাসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হুমকি দেয় ছেলের সাথে ঘর সংসার করতে দেব না। সুযোগ পেলেই শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনাটি স্বামীকে জানানোর পর কোন প্রতিকার না পেয়ে তিনি উপশহর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নোটিশ করলেও শ্বশুর সেই নোটিশে সারা দেননি। উল্টো তাকে খুন-জখমের হুমকি দেন। সম্প্রতি কোতয়ালি মডেল থানায় শ্বশুর হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে অলিমা হাসান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামল দায়ের করেন। পুলিশ তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করে। এরপর শাশুড়ি শাহেনুর বেগম ও ভাসুর মাহমুদুল হাসান স্বামী দুই শিশুপুত্রসহ তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। গৃহবধূ অলিমা হাসান আরও বলেন, বর্তমানে মা-ছেলে মিলে গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তিনি স্বামী ও দুই শিশুপুত্রকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন।
স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিরসনের উদ্যোগ নিলে ব্যর্থ হন। গৃহবধূর দেবর, অভিযুক্ত হারুন-অর-রশিদের ছোট পুত্র ইমদাদ বলেন, ভাবির অভিযোগ সত্য। আমি পিতাকে নিষেধ করলেও কর্ণপাত করেননি। উপশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুর রহমান লিটু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি অভিযুক্ত হারুন-অর-রশিদকে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম বিষয়টি নিরসনের জন্যে। কিন্তু তিনি আমাকে জানান, চেয়ারম্যান হলেও এই ধরনের বিচার করার এখতিয়ার আপনার নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসান জহিরও একই কথা বলেন। তিনি নিজেও বিষয়টি নিরসনের উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বলে জানান। এ বিষয়ে গৃহবধূর শাশুড়ি ও ভাসুর কোন কথা বলতে রাজি হননি। তারা কেবল ধর্মের দোহাই দেন।