এমন ট্র্যাকে অ্যাথলেটিকস আর কতদিন?

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকটি অসুখে ভুগছে অনেক আগে থেকেই। এখন রীতিমতো আইসিইউতে। এখানে, ওখানে ছেড়া-ফাঁটা, বড়বড় গর্ত। দেখলেই আতঙ্কে থাকে অ্যাথলেটরা। এখানেই দৌড়াতে হবে?
উপায় নেই। ১৫ বছর আগে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে যে ট্র্যাক বসানো হয়েছিল এখানে, কয়েক বছর আগেই তা ব্যবহারের অনুপযোগী। চলমান বাংলাদেশ গেমস যখন এক বছর আগে হওয়ার কথা ছিল তখনই অ্যাথলেটিকস ডিসিপ্লিন বিকেএসপিতে আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছিলেন ক্রীড়া প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিরা। গেমস স্থগিত হয়ে যাওয়া কোথায় অ্যাথলেটিকস হবে সে প্রশ্ন আর সামনে আগায়নি।
এক বছর আগে যেখানে অ্যাথলেটিকস হওয়ার নিয়ে অনিশ্চিয়তা ছিল, এক বছর পর সেখানেই দৌড়ালেন ইসমাইল-শিরিনরা। মাঝে জানুয়ারিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে আরেকটি ধকলতো গেছেই ট্র্যাকের ওপর দিয়ে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কেবল অ্যাথলেটিক ট্র্যাকই নয়, পুরো স্টেডিয়ামই নতুন করে সাজাচ্ছে সংস্কারের মাধ্যমে। প্রায় ১০০ কোটি টাকা পাশও হয়েছে; কিন্তু করোনার কারণে কাজ শুরুর প্রক্রিয়ায় ধীরগতি।
নতুন করে যেখানে ট্র্যাক বসছে সেখানে পুরোনোটি সংস্কারের দরকার কী? এই নীতি থেকে কাঁথা সেলাইয়ের মতো টার্ফ সেলাই করে একটির পর একটি আসর এখানে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। এতে অ্যাথলেটদের ঝুঁকি বাড়ছে দিনদিন।
ট্র্যাকের গর্তে ডাবের খোসা। এমন একটি ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ছবিটি নজরে পড়েছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টুর। ‘যে ছবিটা দেখছেন ওটা মূল ট্র্যাকের নয়। পাশের ওয়ার্মআপ ট্র্যাকে। আর এটা নতুন কিছু নয় যে, এই ট্র্যাকের অবস্থা বেহাল। আমরা কষ্ট করে এর মধ্যে খেলা চালাই। যতদিন নতুন না হবে আমাদের তো কোনো বিকল্প নেই’-বলছিলেন অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
এবারই গেমস চলাকালানী নারী হার্ডলার সুমিতা রানীকে পায়ে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। তবে সেটি ট্র্যাকের কোনো ত্রুটির জন্য নয়। সুমিতা পড়ে গিয়েছিলেন হার্ডলসে পায়ে আঘাত লেগে। এই ট্র্যাকে অবশ্য কেউ আহত হনননি- এটা বড় তৃপ্তি আবদুর রকিব মন্টুর, ‘আল্লাহর রহমতে কারো কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা ভালোয় ভালোয়ই বাংলাদেশ গেমসের অ্যাথলেটিকস শেষ করতে পেরেছি।’
ছবিটা তুলেছিলেন দৈনিক জনকন্ঠের ফটো সাংবাদিক ইবনুল আসাফ জাওয়াদ।