একশপের সঙ্গে ধামাকা অনলাইন শপিংয়ের কার্যক্রম শুরু

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥সহজে ও দ্রুত সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এটুআই-এর উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম রুরাল অ্যাসিস্টেড ই-কমার্স প্লাটফর্ম ‘একশপ’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের দ্রুত বর্ধনশীল ই-কমার্স ধামাকা অনলাইন শপিং। এখন থেকে ধামাকার প্লাটফর্মে একশপের সব উদ্যোক্তার পণ্য পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে একশপের দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা এজেন্টরা ধামাকা শপিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে কেনাকাটা করতে পারবেন।
আজ রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ধামাকা অনলাইন শপিংয়ের চিফ বিজনেস অফিসার দিবাকর দে শুভ এবং একশপের টিম লিড মো. রেজওয়ানুল হক জামি।
এ সময় এটুআই-এর ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট শাহরিয়ার হাসান জিসান, প্রোগ্রাম অ্যাসিসট্যান্ট শায়েলা কাদের এবং ধামাকা শপিংয়ের ডিরেক্টর (অপারেশন) সাফওয়ান আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমার্শিয়াল) ইব্রাহিম স্বপন, সিনিয়র ম্যানেজার (কর্পোরেট) কে এম ফেরদৌস ইলিয়াস এবং বিজনেস কো-অর্ডিনেটর সৌরভ সাহা উপস্থিত ছিলেন।
ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. জসিম উদ্দিন চিশতি বলেন, জনগণের দোড়গোড়ায় ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দিতে এবং নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করায় একশপ এবং ধামাকা অনলাইন শপিংয়ের মূল উদ্দেশ্য। নতুন উদ্যোক্তা এবং গ্রাহকদের ই-কমার্সের ওপর আস্থা বাড়ানোর জন্য দেশব্যাপি ধামাকা শপিং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ডেডিকেটেড গ্রামীণ ই-কমার্স নেটওয়ার্ক একশপ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কে পৌঁছে গেছে। এই সমঝোতার ফলে ধামাকা শপিংয়ের গ্রাহক এসব দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছেও পৌঁছে যাবে একশপের মাধ্যমে।
একশপের টিম লিডার মো. রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, এই সমঝোতার ফলে দেশব্যাপি একশপের প্রায় ছয় হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহকরা ধামাকা অনলাইন প্লাটফর্মের সেবা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, একশপের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা ধামাকা শপিং প্লাটফর্মে তাদের পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন। ই-কমার্স কোম্পানি, লজিস্টিক কোম্পানি, পোস্ট অফিস, পেমেন্ট সুবিধা, ইউডিসি নেটওয়ার্কের মধ্যে সমন্বয় করে তৈরি হয়েছে একশপ প্ল্যাটফর্ম। এতে একদিকে যেমন প্রান্তিক উৎপাদনকারীর পণ্য প্রায় ২৫ লাখ ই-কমার্স গ্রাহকের কাছে পৌঁছানের সুযোগ হবে, তেমনি শহরের মানুষও ঘরে বসে গ্রামের পণ্য কিনতে পারবেন সরাসরি।