আজও শনাক্ত ৭০০০ এর ওপরে

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন সাত হাজার ৭৫ জন। গতকাল শনাক্ত হয়েছিলেন ৭ হাজার ৮৭ জন। যা ছিল দেশে একদিনে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ শনাক্ত। নতুন শনাক্ত হওয়া সাত হাজার ৭৫ জনকে নিয়ে সরকারি হিসাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত মারা গেছেন ৫২ জন, তাদের নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হিসাবে মারা গেলেন ৯ হাজার ৩১৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯৩২ জন, তাদের নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জন।আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর এক বছর পর গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো একদিনে পাঁচ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হন। এর তিন দিনের মাথায় দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়ায় গত বৃহস্পতিবার। মাঝে শনিবার একদিনে শনাক্ত নেমেছিল ছয় হাজারের নিচে। গতকাল রবিবার নতুন রেকর্ডের পর আজ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলো ১২ জন। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন দেশে দৈনিক শনাক্ত সাত হাজারের ওপরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয় ৩১ হাজার ৯৭৯টি। পরীক্ষা হয়েছে ৩০ হাজার ২৩৯টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৮ লাখ ১৩ হাজার ৬২৪টি। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ২৪ হাজার ১১৭টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০৭টি।
দেশে বর্তমানে ২২৭টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এরমধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ১২০টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৩৪টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৭৩টি পরীক্ষাগারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫২ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৪ জন, আর নারী ১৮ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন সাত হাজার চার জন এবং নারী মারা গেলেন দুই হাজার ৩১৪ জন। শতকরা হিসাবে যা পুরুষ ৭৫ দশমিক ১৭ শতাংশ আর নারী ২৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ৩২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, আর শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে মারা গেছে একজন।
এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৪০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাত জন, আর রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের আছেন একজন করে।
৫২ জনের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৫০ জন আর বাড়িতে দুই জন।