অলিগলিতে মাস্কবিহীন চলাচল, চায়ের দোকানে আড্ডা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥অনেক দোকানি নিজেই মাস্ক পরছেন নাঅনেক দোকানি নিজেই মাস্ক পরছেন না
আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী ৭ দিনের লকডাউন। নিত্যদিনের মতো মানুষের চলাচল নেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। খোলা আছে পাড়া মহল্লার দোকান, ফেরি করে চলছে তরকারি-মাছ বিক্রি। অনেকেই ঘর থেকে বাইরে এসেছেন কিন্তু মুখে নেই মাস্ক। বরাবরের মতোই মাস্ক না পরার পেছনে নানা অজুহাত। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কোনও কোনও এলাকায় দেখা গেছে চায়ের আড্ডাও।
রবিবার (৪ এপ্রিল) এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউনে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারের নির্দেশনা অনুসারে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে অনেক দোকানি নিজেই মাস্ক পরছেন না। রাজধানীর মিরপুরের পীরেরবাগ ফেরি করে তরকারি বিক্রি করেন রহিম মিয়া। মুখে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক অনেকক্ষণ পরা ছিলাম। মুখ ঘামিয়ে যায়, মাত্র খুললাম। আবার পরবো, একটু পরেই।
সরকারের নির্দেশনা অনুসারে, খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রি ও সরবরাহ করা যাবে। কোনও অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না। তবে রাজধানীর অনেক জায়গায় চায়ের দোকান খোলা রয়েছে আগের মতোই। ক্রেতারা আড্ডা জমিয়ে চা খাচ্ছেন।
রাজধানীর মিরপুর ১ এর দক্ষিণ বিশিল এলাকায় খোলা আছে চায়ের দোকান। সেখানে চা খাচ্ছিলেন, মিথুন ও তার বন্ধুরা। জানালেন, ঘরে থেকে বিরক্ত লাগছে, তাই অল্প সময়ের জন্য বের হলাম। আবার ঘরে চলে যাবো।
মিরপুরের কমার্স কলেজ এলাকায় রাস্তা ফাকা পেয়ে শিশু-কিশোররা নেমে গেছেন ক্রিকেট খেলতে। মুদি দোকানগুলোতে প্রতিদিনকার মতো কেনাবেচা চলছে। ক্রেতাদের অনেকের মুখে নেই মাস্ক।
মোহাম্মদপুর, গ্রিনরোড, লালবাগ, হাজারীবাগ এলাকা ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। দোকানপাট খোলা, রয়েছে মানুষের চলাচল। কিছু মানুষ মাস্ক পরে বের হলেও অনেকেই এ ব্যাপারে উদাসীন।
যদিও সরকার বলছে, আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কোনও এলাকায় আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নিতে দেখা যায়নি।