এস্ট্রাজেনেকার অনুমোদন ৬ মাস, ভারতে তা ৯ মাস

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ উৎপাদনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৬ মাস পর্যন্ত টিকা ব্যবহারের কথা বলেছে এস্ট্রাজেনেকা। কিন্তু ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই টিকা উৎপাদনের তারিখ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স হাতে পাওয়া ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে এ তথ্য পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া একটি সূত্র তাদেরকে এ তথ্য দিয়েছে। নয়া দিল্লি থেকে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে (এসআইআই) এবং তারা এই টিকা কয়েক ডজন দেশে রপ্তানি করেছে। তাদেরকে দেয়া অনুমোদনের ফলে এই টিকা নষ্ট হওয়া সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সহায়ক হবে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষের জন্য। একই সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচির পরিকল্পনা উন্নত হবে।
সেরাম উৎপাদিত এই টিকার নাম দেয়া হয়েছে কোভিশিল্ড। যদি এর মেয়াদ বাড়ানো না হয় তাহলে আগামী মাসের মধ্যভাগে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোকে কমপক্ষে ১০ লাখ টিকার ডোজ ব্যবহার করতে হবে। এসআইআই-এর একটি অনুরোধের জবাব গত মাসে দিয়েছেন ভারতের ওষুধ কন্ট্রোলার-জেনারেল ভিজি সোমানি। লিখিতভাবে তিনি জানিয়েছেন, আপনাদেরকে হাতে থাকা ‘আনলেভেলড’ টিকার সংরক্ষণের মেয়াদ ৯ মাস অনুমোদন করা হলো। কিন্তু এস্ট্রাজেনেকা গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের এই টিকা ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ, পরিবহন এবং সাধারণ রেফ্রিজারেটরে রাখা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে কোভিশিল্ডের মেয়াদ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় উৎপাদিত এস্ট্রাজেনেকার টিকার মেয়াদ ৬ মাস নির্ধারণ করে দিয়েছে।
ভিজি সোমানির অনুমোদন পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স। ওই অনুমোদন আফ্রিকার কিছু দেশের সঙ্গেও বিনিময় করা হয়েছে। তবে এটা নিশ্চিত করা যায়নি যে, তিনি যে সুপারিশ করেছেন সেটা অব্যবহৃত টিকার শিশির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিনা। প্রতিটি শিশিতে ৫ মিলিলিটার টিকা বা ১০টি ডোজ থাকে। এ বিষয়ে সরাসরি জানেন এমন একটি সূত্র প্রকাশ্যে এটা নিয়ে আলোচনা করতে চান না। তিনি বলেছেন, এসআইআইয়ের জমা দেয়া ডাটার ওপর ভিত্তি করে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে কোম্পানি কি রকম ডাটা শেয়ার করেছে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি।