ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনবে সূর্যমুখীর বীজ

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আমেরিকায় বিভিন্ন আদিবাসী ও নৃ-গোষ্ঠীরা বরাবরই সূর্যমুখীর বীজ বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকেন। তারা এ বীজগুলো কাঁচা বা ভেজে নাস্তা হিসেবেও খেয়ে থাকে। পাশাপাশি বিভিন্ন মিষ্টান্ন বা সিরিয়াল তৈরিতে তারা এ বীজের ময়দা ব্যবহার করেন। সূর্যমুখীর বীজ পিনাট বাটারের বিকল্প হিসেবেও মাখন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
মিষ্টি বাদাম জাতীয় সূর্যমুখী বীজে আছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপাদান। যেমন- খনিজ পদার্থ, ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড। সূর্যমুখীর বীজ শরীরের নানা রোগ সারিয়ে তোলে ও নানাভাবে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।
ভিটামিন সি এবং ই এর পাশাপাশি ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, দস্তা এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ থাকে এতে। এসব পুষ্টিগুণ আমাদের হাড়, টিস্যুসহ শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো সুস্থ রাখে। এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধের পাশাপাশি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে আনে এ বীজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর অন্যান্য উপকারিতাসমূহ-
>> হৃদরোগের জন্য খুবই ভালো কাজ করে এ বীজ। এতে ভালো কোলেস্টেরল থাকে। সূর্যমুখী বীজে লিনোলিক অ্যাসিডের একটি উচ্চ শতাংশ থাকে, যা মোট কোলেস্টেরল পাশাপাশি এলডিএল স্তর হ্রাস করতেও সহায়তা করে। এ ছাড়াও এ বীজের মধ্যে থাকে ওলিক অ্যাসিড। যা ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়। সাধারণত ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়েই কার্ডিয়াক সমস্যা তৈরি করে।
>> ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে সূর্যমুখীর বীজ। সাধারণত রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রক্তনালীসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহের ক্ষতি করে এবং হার্ট, কিডনি, স্নায়ু এবং দৃষ্টিকেও প্রভাবিত করে। সূর্যমুখী বীজের মধ্যে গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে না তবে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
>> অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান আছে এ বীজে। ফলে তীব্র আঘাত বা সংক্রমণের কারণে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া রোধ করে। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কোষ ও টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সূর্যমুখী বীজে ফ্লাভোনয়েডের মতো ভিটামিন ই এবং ফেনোলিক যৌগ থাকে। এ দুই উপাদানই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। যা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
>> বিভিন্ন ক্ষত সারায় এ বীজ। পুরুষ মেষশাবকের উপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, সূর্যমুখী বীজ ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে। এ বীজের মধ্যে লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। যা ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে।
>> হাড়ের সুস্থতায়ও বিশেষভাবে কাাজ করে সূর্যমুখীর বীজ। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালশিয়াম হাড় শক্ত করে সুস্থ রাখে।
>> এ বীজে আছে অ্যান্টি-এজিং বৈশিষ্ট্যসমূহ। যা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। এর মধ্যকার ভিটামিন ই ও বিটা ক্যারোটিন ত্বককে উজ্জ্বল করে ও বালিরেখা পড়তে দেয় না।
>> সূর্যমুখীর বীজে থাকে ভিটামিন বি-৬। যা মাথার ত্বকে অক্সিজেন সাপ্লাই করে চুলপড়া রোধ করে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে। এতে আরও আছে কপার যা চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখে।