যশোরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূর জন্মতিথি ও দোলযাত্রা উদযাপন

0

স্টাফ রিপোর্টার॥ যশোরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভূর ৫৩৬তম জন্মতিথি ও দোলযাত্রা উৎসব উদযাপিত হয়েছে। রোববার গৌরপূর্ণিমা তিথিতে সনাতন ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠান শেষে আবিরে-আনন্দে আলোচনাসভা, নৃত্যে, পূজা-হোমযজ্ঞে উদযাপিত হয়েছে দোল পূর্ণিমা।   এদিন দুপুরে সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের উদ্যোগে সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কলেজের আবদুল হাই কলাভবনে হলরুমে অনুষ্ঠিত বক্তব্য দেন যশোর সরকারি সিটি কলেজ উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অলোক বসু, সরকারি এমএম কলেজ বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ভারতী হালদার, দৈনিক প্রতিদিনের কথার সিনিয়র রিপোর্টার প্রণব দাস, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের উপদেষ্টা কলামিস্ট বিদ্যুৎ কুমার দে, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ যশোর জেলার সমন্বয়ক বিশ্বজিৎ মজুমদার, এমএম কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি অভিজিৎ চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তনুশ্রী সিংহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কল্যাণ বিশ্বাস, সিটি কলেজ শাখার সহ-সভাপতি দিপু মন্ডল, অর্থ সম্পাদক শুভ মন্ডল প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ এমএম কলেজ শাখার সভাপতি সত্যজিৎ মজুমদার। সঞ্চালনা করেন সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ এমএম কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ বিশ্বাস। বক্তারা সকলকে মানবকল্যাণে ব্রতি হবার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান থেকে যশোর মাইকেল মধুসূদন কলেজ ক্যাম্পাসে স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।
আলোচনাসভা শেষে ক্যাম্পাসে বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। এরপর দোলপূর্ণিমার মূল আকর্ষণ পরস্পরকে আবির মাখিয়ে উৎসব উদযাপন করা হয়। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ও মন্দিরে রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরের রঙে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রঙ খেলেন। দোল পূর্ণিমা উপলে আয়োজিত এ উৎসবে ভক্তরা সৃষ্টিকর্তার কাছে ন্যায়ের বিজয় ও অন্যায়ের বিনাশ প্রার্থনা করেন। দোল উৎসব মূলত ছোটদের কাছে বেশি রঙিন। তবে সব বয়সের নারী পুরুষই একে অপরকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে দেন। কেননা মনের কালিমা মুছে স্বচ্ছতার রঙে রঙিন হবার দিন এটি। কম বয়সীরা বয়সে বড়দের প্রণাম করে আশীর্বাদ নেয়। যশোর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, বেজপাড়া পূজা সমিতি মন্দির, পশ্চিমবারান্দী নাথ পাড়া সার্বজনীন মন্দিরসহ পাড়া মহল্লা ও বাড়িতে বাড়িতে দোল পূজার আনুষ্ঠানিকতা পালন হয়েছে। শাস্ত্র মেনে রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরের রঙে রাঙিয়ে পূজা ও কীর্তনাদি করা হয়।