বিক্ষোভ করলে মাথায় গুলি লাগতে পারে: মিয়ানমার জান্তার হুঁশিয়ারি

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গেলে মাথা ও পিঠে গুলি করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ঘোষণায় এ কথা জানানো হয়েছে। শনিবার গণতন্ত্রপন্থীদের বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচি সামনে রেখে এ হুমকি দিল সেনাশাসকরা। মিয়ানমারের রাষ্ট্রপরিচালিত এমআরটিভি নিউজ চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, আগের জঘন্য মৃত্যুগুলোর ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত যে, [বিক্ষোভে গেলে] আপনি মাথা ও পিঠে গুলি লাগার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। নিরাপত্তা বাহিনীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার অনুমতি দেয়া হয়েছে কিনা তা অবশ্য পরিষ্কার বলা হয়নি। তাছাড়া মিয়ানমার জান্তা আগেও বোঝাতে চেয়েছে, কিছু হতাহতের ঘটনা বিক্ষোভকারীদের ভেতর থেকে আসা গুলিতেই হয়েছে।
তবে সামরিক সরকার এটা ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা সশস্ত্র বাহিনী দিবস ঘিরে জান্তাবিরোধী যেকোনও বিক্ষোভ মোকাবিলায় বদ্ধপরিকর। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের রাস্তায় প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছে দেশটির গণতন্ত্রকামী জনতা। শুক্রবারও বিক্ষোভ হয়েছে দেশটিতে। এদিন মান্দালয়, সাগাইং অঞ্চল, কারেন ও চিন রাজ্যে রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোভকারীরা। এসময় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চারজন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মায়েইক শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি বলেন, দুইজনকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী থাকায় আমরা [তৃতীয়] মরদেহ আনতে পারিনি। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি চতুর্থ মরদেহ দেখেছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও শুক্রবার অন্তত চারজনের মৃত্যুর কথা বলেছে। অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের তথ্যমতে, মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অন্তত ৩২০ জন নিহত হয়েছেন। সংগঠনটি বলছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশেরই মাথায় গুলি লেগেছে। ফলে তাদের ইচ্ছা করে গুলি করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান