শালিখার সেওজগাতী গ্রামের রাস্তা আজও পাকা হয়নি, চরম দুর্ভোগ

0

শহিদুজ্জামান চাঁদ, আড়পাড়া (মাগুরা) ॥ স্বাধীনাতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগেনি মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সেওজগাতী গ্রামে। পূর্ব পশ্চিমে দীর্ঘায়িত গ্রামটির একমাত্র রাস্তা ভাটোয়াইল ভায়া সেওজগাতী ধনেশ্বেরগাতী রাস্তা। একমাত্র এই রাস্তার পাশ দিয়েই গ্রামের অধিবাসীদের বসবাস। ৬টি বিল দ্বারা পরিবেষ্টিত গ্রামটিতে প্রায় ৯৯ ভাগ সংখ্যালঘুদের বসবাস। স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই এই গ্রামের মানুষজন আওয়ামীলীগকে ভোট দিয়ে আসছে। কিন্তু রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় গ্রামের লোকজন বর্ষাকালে খুবই কষ্টের মধ্যে বসবাস করে। শুধু তাই নয়, পাঁচ গ্রামের মানুষের ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া এটি তালখড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সেওজগাতী আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, সেওজগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটোয়াইল কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী লোকনাথ আশ্রম ও বার গঙ্গা শ্মশান আশ্রমে যাওয়ারও একমাত্র রাস্তা। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় পাঁচ গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে যুগ যুগ ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মাত্র তিন কিলোমিটার এই রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় নানাভাবে পিছিয়ে পড়ছে এলাকার সাধারণ মানুষ। বার বার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেও কোন ফল পায়নি এলাকার মানুষ। এ ব্যাপারে সেওজগাতী গ্রামের কৃষক দিলীপ রায় বলেন, রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় মাত্র ১/২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত বিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে ১০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে এলাকার শিার্থীরা লেখাপড়া করছে। ফলে একদিকে যেমন শিা ব্যয় হচ্ছে, অন্যদিকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অভিভাবকরা। এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, এ রাস্তাটি পাকা না হওয়া খুবই দুঃখজনক। বিশিষ্ট কলামিস্ট কমরেড হিমাংশু দেব বর্মন বলেন, শতভাগ কৃষি এলাকার এই রাস্তাটির করুণ অবস্থা না দেখলে কাউকে বোঝানো যাবে না। বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে হাঁটু সমান কাদাপানি জমে যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আমির হোসেন বলেন, ‘আমরা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।’