আইপিএলের মতো খেলেই অভিষেকে তরুণ কিশানের বাজিমাত

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আহমেদাবাদের মোতেরায় ১৬৫ রানের লক্ষ্যটা খুব একটা সহজ ছিল না ভারতের জন্য। তার ওপর ইনিংসের প্রথম ওভারের পুরোটা মেইডেন খেলে শেষ বলে সাজঘরে ফিরে যান অগ্রজ ওপেনার লোকেশ রাহুল। ফলে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে চাপটা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত ইশান কিশানের। তবে সেই চাপকে নিজের ওপর চড়াও হতে দেননি ২২ বছর বয়সী কিশান। বর্তমান সময়ের অন্যতম গতিময় পেসার জোফরা আর্চারের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন বাঁহাতি এই তরুণ ওপেনার। ইনিংসের পরের গল্প পুরোটাই স্বপ্নময়। যেখানে ছিল কিশানের সাফল্যগাথা।
শূন্য রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে ৫৪ বলে গড়েন ম্যাচের ফল নির্ধারণী ৯৪ রানের জুটি। যেখানে কোহলির অবদান ছিল মাত্র ৩৫ রান। অভিষিক্ত কিশান ৫ চার ও ৪ ছয়ের মারে করেন ৩২ বলে ৫৬ রান। আদিল রশিদকে বিশাল এক ছয়ের মারে পূরণ করেন নিজের ফিফটি। ভারতের মাত্র দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচেই ফিফটি করেন তিনি। ম্যাচটি শেষ করে আসতে পারেননি কিশান। তবে ১০ ওভারেই দলকে ৯৪ রানে পৌঁছে দেয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই। পরে ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, মূলত আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই নিজের অভিষেক রাঙিয়েছেন কিশান। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘একজন ক্রিকেটারের জীবন বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন মানুষের প্রভাব থাকে। ম্যাচ শুরুর আগে রোহিত ভাই আমাকে বলেছেন যে, তুমি ওপেন করবে। আইপিএলে যেমন খেলতে, তেমনই স্বাধীনভাবে খেলো। তিনি আমাকে স্বচ্ছ মন নিয়েই খেলতে বলেন।’ এর আগে ম্যাচসেরার পুরস্কার গ্রহণকালেও আইপিএলের কথা উল্লেখ করেন কিশান। তিনি বড় কৃতিত্ব দেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে, ‘এই পর্যায়ে আসা এবং নিজের প্রথম ম্যাচ খেলা সহজ নয়। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। সেখানে আমি সিনিয়র খেলোয়াড়ের সঙ্গে ছিলাম। তারা আমাকে অনেক ভালো ভালো উপদেশ দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে কিশানের অধীনে রানার্সআপ হয়েছিল ভারত। সে বছরই গুজরাট লায়নের হয়ে আইপিএল অভিষেক হয় তার। পরে রোহিত শর্মার অধীনে যোগ দেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে। আইপিএলের সবশেষ আসরে কিশানের ব্যাট থেকে আসে ৫১৬ রান। যা তার জাতীয় দলের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়।’