অস্ত্র কেনায় শীর্ষে সৌদি-ভারত, বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ গত পাঁচ বছরে বিশ্বজুড়ে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বাড়েনি। তবে সেটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবীর গড়ার অভিপ্রায়ের জন্য- এমনটা ভাবলে ভুলই হবে। মূলত বিভিন্ন দেশ নিজস্ব উদ্যোগে অস্ত্র তৈরি বাড়ানোয় আমদানি অনেক কমে গেছে। এরই প্রভাব পড়েছে মোট অস্ত্র কেনাবেচার হিসাবে। সোমবার স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ তিন অস্ত্র বিক্রেতা- যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানির অস্ত্র রফতানি বেড়েছে। তবে তাতে ভারসাম্য এসেছে অন্য দুই প্রধান বিক্রেতা- রাশিয়া ও চীনের অস্ত্র রফতানি কমে যাওয়ায়। ২০০১-২০০৫ সালের পর থেকে এটাই প্রথমবার বিশ্বে সামগ্রিক অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বাড়েনি। এসআইপিআরআইয়ের হিসাবে, এখন পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র রফতানিকারক যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১-২০১৫ সালে বৈশ্বিক অস্ত্র রফতানিতে তাদের অবদান ছিল ৩২ শতাংশ, এর পরের পাঁচ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ শতাংশে। এর ফলে মার্কিনিদের সঙ্গে রুশদের অস্ত্র রফতানির ব্যবধান আরও চওড়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে রাশিয়ার অস্ত্র রফতানি কমেছে ২২ শতাংশ। বিশেষ করে, ভারতের কাছে অস্ত্র রফতানি কমেছে ব্যাপকভাবে। এরপরও বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ অস্ত্র রফতানি করে তালিকার দ্বিতীয় স্থান তাদের দখলে।
২০১৬-২০২০ সময়ে ফ্রান্সের অস্ত্র রফতানি বেড়েছে একলাফে ৪৪ শতাংশ, যার ফলে বৈশ্বিক অস্ত্র রফতানিতে তাদের অবদান দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে জার্মানির অস্ত্র রফতানি বেড়েছে ২১ শতাংশ, আর চীনের কমেছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে, বৈশ্বিক অস্ত্র রফতানিতে তাদের অংশ দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৫ দশমিক ২ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে সমরাস্ত্রের গন্তব্যেও বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়েছে। অঞ্চলটিতে এই সময়ে অন্তত ২৫ শতাংশ অস্ত্র আমদানি বেড়েছে। শুধু মধ্যপ্রাচ্যেরই নয়, গোটা বিশ্বের মধ্যে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কিনেছে সৌদি আরব। এই সময়ে বিশ্বের ১১ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করেছে তারা, এরমধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই কিনেছে ৭৯ শতাংশ। বিপরীতে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্রক্রেতা ভারতের অস্ত্র আমদানি কমেছে ৩৩ শতাংশ। এর পেছনে রুশ অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর প্রচেষ্টার পাশাপাশি দেশটির জটিল ক্রয় প্রক্রিয়াকে দায়ী করেছেন গবেষকরা।

সূত্র: এএফপি