রামপালে লবণসহিষ্ণু জাতের চারা রোপণ করে বেড়েছে বোরো ধানের আবাদ

0

এম.এ. সবুর রানা, রামপাল (বাগেরহাট) ॥ লবণসহিষ্ণু জাত ও সেচ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় রামপালে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। রামপাল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে আবাদের লমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৫৫ হেক্টর। তা বৃদ্ধি পেয়ে আবাদ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমিতে। গৌরম্ভা ইউনিয়নে হাইব্রিড জাতের ৪৪৫ ও উফশী ৮৫ হেক্টর। উজলকুড় ইউনিয়নে হাইব্রিড ২ হাজার ১০৫ ও উফশী ২৬০ হেক্টর। বাইনতলা ইউনিয়নে হাইব্রিড ৭৬০, উফশী ১৮০ ও স্থানীয় জাত ৫ হেক্টর।
রামপাল সদর ইউনিয়নে হাইব্রিড ২৪০ ও উফশী ১৬৫ হেক্টর। রাজনগর ইউনিয়নে হাইব্রিড ৩৭ ও উফশী ১১ হেক্টর। হুড়কা ইউনিয়নে হাইব্রিড ৩ হেক্টর। পেড়িখালী ইউনিয়নে হাইব্রিড ১ ও উফশী ১ হেক্টর। মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে হাইব্রিড ২৮ ও উফশী ৬ হেক্টর। বাঁশতলী ইউনিয়নে হাইব্রিড ১ ও উফশী ২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। গোবিন্দপুরের কৃষক হাওলাদার মারুফুল হক, ভরসাপুর আইপিএম কাবের সভাপতি আনসার আলীসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, রামপাল কৃষি অফিসের কোনো কর্মকর্তা তাদের সাথে যোগাযোগ করেন না, কোনপ্রকার পরামর্শও দেন না। তিনি আরও বলেন, সার্বিকভাবে আবাদ ভালো হয়েছে, পোকামাকড় দেখা যায়নি কিন্তু ইঁদুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। গাছ কেটে দিচ্ছে। এতে বেশ তি হচ্ছে। তারা নিজ নিজ উদ্যোগে সবকিছু করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রানী মন্ডল এর সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিভিন্ন কারণে এবছর বোরো’র আবাদ বেড়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হলো, আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের কারণে কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছে। নতুন করে বাঁশতলী ও মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নে আবাদ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রণোদনা পুনর্বাসনের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৭০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার কৃষককে হাইব্রিড এসএলএইটএইচ ধানের বীজ দেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। লবণসহিষ্ণু জাতের ধান ব্রি-৬৭ ও বিনা ধান ১০ জাত সরবরাহের বৃদ্ধি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ওপর আস্তা বৃদ্ধি, সার, বীজ সঠিক সময়ে সরবরাহ, ন্যায্য মূল্য ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষক যাতে বেশি করে ফলন বৃদ্ধি করতে পারেন সে জন্য সরকারের প থেকে সবকিছু করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২০২০ অর্থ বছরে বোরো’র আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। ২০২১ সালে তার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৩৫ হেক্টর যা গত বছরের চেয়ে ২৭৫ হেক্টর বেশি। চাল উৎপাদনের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৭০৮ মেট্রিক. টন। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১৮ হাজার ৫৮৫ টন যা বেড়ে ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২৩ মেট্রিক. টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশানুরূপ ফলন হতে পারে বলে কৃষি সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।