মৌসুম শেষ না হতেই খুলনায় পেঁয়াজের ‘হাফ সেঞ্চুরি’

0

খুলনা সংবাদদাতা॥ মৌসুম শেষ না হতেই খুলনায় হাফ সেঞ্চুরি করল পেঁয়াজ। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম একলাফে কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দ্রব্যের ফের মূল্যবৃদ্ধি ভাবিয়ে তুলেছে মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষদের। আমদানি কম থাকার অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন- নতুন রাখি/ভাতি পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম কিছুটা কমতে পারে। রোববার (৭ মার্চ) খুলনা বড় বাজারের কয়েকটি পাইকারি আড়ত ঘুরে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে ব্যবসায়ীরা যে পেঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি করেছেন, বর্তমানে তা ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। খুচরা বাজারে সেই পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। হঠাৎ পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বড়বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। বাজারে কালিকাটা পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষ। সামনে রয়েছে রাখি/ভাতি পেঁয়াজের মৌসুম। এটা বাজরে আসলে দাম কমে যাবে।
আব্দুল্লাহ ভাণ্ডারের মালিক জানান, তার আড়তে ব্যাপারীরা কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর থেকে পেঁয়াজ এনে বিক্রি করেন। সেখানকার মোকামগুলোতে পেঁয়াজের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বাজার হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তিনি আরও জানান, এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসলে দাম কমে যাবে। বাজার আর বেশি উঠবে না বলে মনে করেন তিনি। ট্রাক টার্মিনাল পাইকারি বাজারের একজন আড়ৎদার জানান, ঢাকা ও চট্টগামে বর্তমানে পেঁয়াজের চাহিদা ব্যাপক আকারে বেড়েছে। খুলনায় পেঁয়াজ না দিয়ে ব্যাপারীরা সেদিকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। খুলনায় প্রতিদিন ৬ ট্রাক পেঁয়াজের প্রয়োজন হলেও আসছে তিন ট্রাক করে। যার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। খুলনার মিয়া পাড়ার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক সামিনা রহমান রোববার নগরীর বড়বাজারে এসেছিলেন পেঁয়াজ কিনতে। দাম আবার বেড়ে যাওয়ায় এ প্রতিবেদকের কাছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে গেছে সাধারণ ক্রেতারা। যখন যেটা খুশি দাম বৃদ্ধি করে জনগণকে হয়রানি করতে ওস্তাদ তারা।