স্টাফ রিপোর্টার ॥ যশোরের চৌগাছায় আলোচিত বিপুল হোসেন হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। নিহত বিপুলের প্রেমিকাসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে এই চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন।  চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, নিহতের প্রেমিকা চৌগাছা উপজেলার হিজলী র্প্বূপাড়ার আবু শামার স্ত্রী ফুলবানু বেগম, তার ছেলে সবুজ হোসেন, জামাই রফিকুল ইসলাম, বড় কাকুড়িয়া পূর্বপাড়ার ছায়েদ আলী মণ্ডলের ছেলে বর্তমানে কয়ারপাড়ার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম (রফিকুল ইসলামের পিতা) ও হিজলী বাজারপাড়ার গিয়াস উদ্দিন দফাদারের ছেলে তুহিন উদ্দিন দফাদার। এছাড়া তদন্তে এজাহারভুক্ত দুজন আসামির ওই হত্যাকাণ্ডে কোনো সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় চার্জশিটে তাদের অব্যহতির আবেদন জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরা হলেন, হিজলী গ্রামের জামাল হকের ছেলে জাকির হোসেন ও মনমথপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেল শাহজালাল।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসেন জানান, উপজেলার বড় কাকুড়িয়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে বিপুল হোসেন ২০২০ সালের ৩ জুন অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হন। অভিযুক্ত ফুলবানু বেগমের সাথে নিহত বিপুল হোসেনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। যা জেনে যায় ফুলবানু বেগমের ছেলে অভিযুক্ত সবুজ হোসেন। পরে এ ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে বিপুল হোসেনকে গরু কেনার কথা বলে ডেকে নিয়ে অভিযুক্ত সবুজ হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও তুহিন উদ্দিন দফাদার তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। গলায় রশি পেঁচিয়ে, মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং অণ্ডকোষ টিপে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার বস্তাবন্দি লাশ বেড় গোবিন্দপুর মুলিখালী বটতলার পাশের ঝোঁপের ভেতর ফেলে রেখে আসেন অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম। দুদিন পর ৫ জুন সকালে নিহত বিপুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রকি আহমেদ চৌগাছা থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলার তদন্তে সবুজ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, তুহিন উদ্দিন দফাদার, ফুলবানু বেগম ও রেজাউল ইসলামের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সম্পৃক্ততা পাওয়া তাদেরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যান্যরা বিভিন্ন সময় আটক হলেও রেজাউল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। আদালতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন জানানো হয়েছে।