ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলাকারী বোনকে আদালত চত্বরে হামলার অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বুধবার দুপুরে যশোর আদালত চত্বরে হত্যা প্রচেষ্টা মামলার ভিকটিম ও বাদী রুবিয়া ইয়াসমিন আসামি স্কুলশিক্ষক নুরুল আলম পক্ষীয়দের হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় তাকে মারপিট করে ব্যাগ ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হামলার সাথে জড়িত অভিযোগে ৯ জনকে আটক করে। কিন্তু পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রুবিয়া ইয়াসমিনের। তবে আদালত চত্বর থেকে কাউকে আটক বা ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। রুবিয়া ইয়াসমিনের অভিযোগ, জমাজমি নিয়ে বিরোধে তার বড়ভাই সদর উপজেলার চৌঘাটা গ্রামের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক নুরুল আলম ও ভাবি রেহেনা আলমসহ কয়েকজন তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় তিনি কোতয়ালি থানায় মামলা করলে গত মঙ্গলবার সকালে পুলিশ নুরুল আলমকে আটক করে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বুধবার আসামি নুরুল আলমের পক্ষ থেকে আদালতে ফের জামিন আবেদন করা হয়। এ খবর পেয়ে পেয়ে তিনি আইনজীবী নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনানি শেষে আদালতের বিচারক আসামি নুরুল আলমের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে দুপুরে তিনি আদালত চত্বরে অবস্থানকালে নুরুল আলম পক্ষীয়রা তার ওপর চড়াও হন। তারা এ সময় তার ব্যাগ ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল এসে হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে দিয়ে জানতে পারেন, পুলিশ সকলকে ছেড়ে দিয়েছে। পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, হামলার খবর পেয়ে তিনি আদালত চত্বর এলাকায় গিয়েছিলেন। কিন্তু ভিকটিম রুবিয়া ইয়াসমিনের ওপর হামলার সত্যতা মেলেনি। এছাড়া তিনি কাউকে আটক বা ছেড়েও দেননি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সত্য নয়।