ছুটিপুরে অপরের জমি দখল ও প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঝিকরগাছা উপজেলার ছুটিপুর মৌজায় ১৮ শতক জমি কিনে চরম বিপাকে পড়েছেন তারেক নামে এক যুবক। তার জমির চারপাশে ১.১২ শতক জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে একটি পক্ষ। ফলে জমিতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারেক ও তার পরিবার। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় জমি দখলকারীরা নানাবিধ ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারেক। তিনি জিউলীগাছা গ্রামের মৃত আশরাফ মুন্সির ছেলে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার ছুটিপুর মৌজায় অর্জুন দাস ও শচীন দাসের কাছ থেকে ১৮ শতক জমি কেনেন তারেক রহমান। এই জমির মধ্যে ১.১২ শতক জমি ছুটিপুর গ্রামের আরাতনের ছেলে আয়ুব হোসেন ও কহিনুর, মৃত রশিদ মাস্টারের মেয়ে জাহানারা খাতুন, কহিনুরের স্ত্রী জোনা খাতুন, আয়ুব হোসেনের ছেলে সুজন ও শোভন, কাগমারি গ্রামের মৃত হারুন-অর-রশীদের ছেলে আজাদ হোসেন মাস্টার নামের ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির কোন সমাধান না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন তারেক রহমান। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ঝিকরগাছা থানাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন। এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলাম। আমার সার্কেল এএসপি মহোদয়ও সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলেছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। এদিকে, মামলা হওয়া ও থানা পুলিশের আগমনের কারণে বিবাদী পক্ষরা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় হুমকি-ধামকি ও হামলা করতে উদ্যত হয়। জমির মধ্যে থাকা একটি বসত ঘর রাতের আঁধারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন তারেক রহমান। যার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা নির্বহী ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত উল্লেখিত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। যা ১১/০২/২০২১ তারিখের নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। তারেক রহমান জানান, আমি ১.১২ শতক রাস্তাসহ এই জমিটি ক্রয় করেছি। আসামি আমার কাছ থেকে এই জমি জোর করে জবরদখল নেওয়ার চেষ্টা করে। শক্তি খাটিয়ে না পারায় উল্লেখিত ১.১২ শতক রাস্তাটিতে প্রাচীর ও দোকান ঘর নির্মাণ করে বন্ধ করে দেয়। যে রাস্তাটিকে এখনকার মানুষ বিগত ৪০ বছর ধরে চলাচল করে আসছিলো। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট জোর আবেদন করছি, তিনি যেন এই সমস্ত ভূমি খেকো মানুষের কাছ থেকে রাস্তাটি উদ্ধারে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দিবেন। যাতে করে আমিসহ এলাকার মানুষেরা সুষ্ঠুভাবে চলাচল করতে পারি। জানতে চাইলে আয়ুব হোসেনের ফোনে কল করলে তিনি ফোনটি রিসিভ না করে তার ছেলে হাসানুজ্জামানকে দিয়ে কথা বলান। হাসানুজ্জামান বলেন, তারেক রহমান মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমরা আমাদের জমিতে প্রাচীর দিয়েছি। নাভারণ সার্কেল এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, জমির মালিক তারেক রহমানকে আদালতে একটি প্রেয়ার দিতে বলেছি। তারপর সর্বশেষ কি অবস্থায় আছে সেটা জানা নাই। বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে উভয়কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।