নবজাতকের মৃত্যু, আলমডাঙ্গায় ক্লিনিক ভাঙচুর

0

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা ॥ এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা সদরে মা কিনিক ভাঙচুর করা হয়েছে। জন্মের দুদিনের মাথায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই নবজাতকের মৃত্যু হলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ভুক্তভোগীরা জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের ওল্টু রহমানের স্ত্রী মনিরা খাতুন দীর্ঘ ৮ বছর পর সন্তান সম্ভবা হন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার মনিরা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে ওই দিন আলমডাঙ্গার মা কিনিকে ভর্তি করা হয়। রাতেই ডা. লিফা নারছিস চৈতী প্রসূতির সিজার করেন। এসময় ছেলে সন্তান প্রসব করেন প্রসূতি মনিরা খাতুন। পরদিন সোমবার হঠাৎ কান্না শুরু করে ওই নবজাতক। তাকে নেয়া হয় মেহেরপুর সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুর রহমানের আলমডাঙ্গার চেম্বার মা কিনিকে। তিনি নবজাতকের চিকিৎসা দেন। ২ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাকে পার্শবর্তী কুষ্টিয়া জেলা শহরের ভালো কোন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় কিনিক কর্তৃপ। ওই দিন সন্ধ্যায় শিশুটি মারা যায়। এসময় ক্ষুদ্ধ স্বজনরা কিনিক ভাঙচুর করেন। শিশুটির বাবা ওল্টু রহমান বলেন, ‘ভুল চিকিৎসা এবং অন্য চিকিৎসকের কাছে নিতে কিনিক কর্তৃপ বাধা দেয়ায় আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। সময়মত ভালো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারলে সে বেঁচে থাকতো।’ কিনিক মালিক আনোয়ার হোসেন জালাল জানান, ‘আমার কিনিকে প্রসূতির অপারেশন বা অপারেশনের পর সেবায় কোনো ত্রুটি হয়নি। ভূমিষ্ঠের পর শিশুটি সুস্থ ছিলো। তারপরও কিনিকে হামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি আলমগীর কবীর জানান, ভাঙচুরের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।