ড্রাগন চাষ করে আর্থিক লাভবান হতে চান চৌগাছার হেলাল

0

এম. এ. রহিম, চৌগাছা (যশোর) ॥ চৌগাছায় চাষি হেলাল খান ড্রাগন চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চান। অল্প কিছু দিনের মধ্যে তার ৯ বিঘা জমির ড্রাগন গাছে আসবে ফুল ও ফল। হেলাল খান মিঠু উপজেলার সিংহঝুলি গ্রামের ইয়াকুব আলী খানের ছেলে।
জানা যায়, হেলাল খান সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১২ বছর প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে কৃষিকাজে আত্মনিয়াগ করেন। প্রথমে তিনি ছাগলের ফার্ম গড়ে তোলেন। নানা সমস্যার কারণে তা বাদ দেন। এরপর তিনি ভিয়েতনামী ড্রাগন ফল চাষের সিদ্ধান্ত নেন। এলাকার ড্রাগন চাষিদের পরামর্শ নিয়ে নারায়ণপুর মাঠে ৯ বিঘা জমি বর্গা নেন। প্রথমে ড্রাগন গাছের মাচা তৈরির জন্য ২ হাজার ১০৩টি আরসিসি পিলার স্থাপন করেন। প্রতিটি পিলারে চারটি হিসেবে ৮ হাজার ৪১২ টি চারা রোপন করেন। গত ১৫ মাস চারাগুলো নিবিড় পরিচর্যা করছেন। প্রতিমাসে এ জমিতে প্রায় ২০ হাজার টাকার রাসায়িনক সার ও কীটনাশক দেন। এছাড়া গোবর ও জৈব সারও দিতে হয়। বর্তমানে গাছগুলো ফুল ধরার উপযুক্ত হয়েছে। চলিত মাসের শেষে এতে ফুল আসা শুরু হবে। ফল আসা শুরু হলে প্রতিটি পিলারের ৪টি গাছ থেকে ৭/৮ কেজি ফল আসেব। ড্রাগন চাষে সমস্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার কিনতে হয়। উপজেলার কোনো দোকানে ন্যায্য মূল্যে সার কেনা যায় না। যার ফলে টার্গেটের থেকে খরচ বেশি হচ্ছে। তিনি নয় বিঘা জমিতে ২ হাজার ১০৩টি পিলার স্থাপন করে গাছগুলোকে এ পর্যায়ে আনতে ১৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। ফল ওঠা পর্যন্ত আরও ৩/৪ লাখ টাকা লাগবে। ১৫ মাসে প্রতিদিন অনেক মানুষ তার বাগান দেখতে আসলেও কৃষি বিভাগ থেকে কেউ কোনদিন আসেনি। ড্রাগন চাষ স¤র্পকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলেন, ড্রাগন প্রধানত উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলের ফসল। পৃথিবীর যে সব এলাকায় দিনের দৈর্ঘ্য বেশি সেসব দেশে ড্রাগনের উৎপাদন ভাল হয়। আমাদের দেশও ড্রাগনের চাষ বেশ আশাব্যঞ্জক। যারা চাষ করেছেন তারা লাভবান হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যারোটিন উপাদান রয়েছে। যা মানবদেহের জন্য উপকারী।