ম্যাক্সওয়েল-তাণ্ডব অ্যাগারের ঘূর্ণিতে সিরিজে ফিরল অস্ট্রেলিয়া

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ অ্যারন ফিঞ্চের ফর্মে ফেরা হাফসেঞ্চুরি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবের পর অ্যাশটন অ্যাগারের ঘূর্ণিতে দারুণ জয়ে সিরিজে ফিরল অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে পিছিয়ে পড়ার পর বুধবার ওয়েলিংটনে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৬৪ রানে হারিয়েছে সফরকারিরা।
টি-টোয়েন্টিতে এখন অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলিং ফিগার অ্যাগারেরই। টি-টোয়েন্টিতে এখন অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলিং ফিগার অ্যাগারেরই। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি জিতে একক আধিপত্য বিস্তার করেছিল নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য অস্ট্রেলিয়া বুঝিয়ে দিলো, এত সহজেই তারা কিউইদের ছেড়ে দেবে না। ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডকে ৬৪ রানে হারিয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজ (২-১) এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে অজিরা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া উইকেট হারায় দলীয় ৬ রানে। ম্যাথু ওয়েডের বিদায়ের পর তখনও বোঝা যায়নি কতটা বিধ্বংসী হতে যাচ্ছে অজিদের ব্যাটিং। বড় লক্ষ্য পেতে শুরুর ভিতটাই গড়ে দিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ ও জশ ফিলিপে। ফিঞ্চ তো ২৭ ইনিংসে দেখা পেলেন নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরির। ২৭ বলে ৪৩ রান তুলে ফিলিপে ফিরলে ভাঙে ৮৩ রানের ঝড়ো এই জুটি। ফিঞ্চ তার পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে সমৃদ্ধ করেন স্কোরবোর্ড।
এর পরের গল্পটা শুধুই ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডব। ফিঞ্চ ৪৪ বলে ৬৯ রান করে ফিরলেও অপ্রতিরোধ্য ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। অজি অধিনায়কের বিদায়ের পর ম্যাক্সওয়েল ঝড়েই দুইশ’র কাছে পৌঁছায় অজিদের ইনিংস। ফিঞ্চের ইনিংস ছিল ৮টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো। আর বিদায় নেওয়ার আগে ৮টি চার ও ৫টি ছয়ে ৭০ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস উপহার দেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত করতে পারে ৪ উইকেটে ২০৮ রান। এত রান দেওয়ার পর শুরুটাও আহামরি হয়নি নিউজিল্যান্ডের। বরং অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে ব্যাটিংয়ের দিনে চমক দেখিয়েছেন অভিষেক হওয়া পেসার রাইলি মেরেডিথ। কিউইদের গুরুত্বপূর্ণ প্রথম দুই উইকেট শিকারই ছিল তার হাতে। বিদায় দেন টিম সেইফার্ট ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ২০৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে মার্টিন গাপটিল ও ডেভন কনওয়ে ভালোই লড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অ্যাস্টন অ্যাগার ১৩ ওভারে তিন উইকটে তুলে নিয়ে কিউইদের জয়ের সম্ভাবনা বাতাসে মিলিয়ে দেন পুরোপুরি। বামহাতি এই স্পিনারের ঘূর্ণিতেই ১৭.১ ওভারে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় কিউইদের ইনিংস। অ্যাগার ৩০ রানে নেন ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এতগুলো উইকেট নেওয়া চতুর্থ বোলারও তিনি! যা আবার অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলিং ফিগারও। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।