চৌগাছা ও সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন শ্রমিক নিহত আহত ২

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ যশোরের চৌগাছায় মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত ও সাতক্ষীরায় ট্রাক চাপায় দুই ইটভাটা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সাতীরা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরার তালতলা স্কুলের সামনে মাটি বহনকারী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মনিরুল ইসলাম (৩৩) ও মোহাম্মদ আলী (৪২) নামে ইটভাটার দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সাতীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. বুরহানউদ্দিন জানান, শনিবার সকালে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত মনিরুল ইসলাম সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের সামাদ সরদারের ছেলে ও মোহাম্মদ আলী একই গ্রামের ইসরাফ সরদারের ছেলে।
বুরহান উদ্দিন বলেন, মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলীসহ সাতজন শ্রমিক শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বাইসাইকেলযোগে বিনেরপোতায় লিয়াকত আলীর বি.বি.ব্রিকস নামক ইটভাটায় কাজ করতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সাতীরা-খুলনা মহসড়কের তালতলা স্কুলের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাটি বহনকারী ট্রাক মনিরুল ও মোহাম্মদ আলীকে চাপা দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের সাতীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সাতীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার, চৌগাছা (যশোর) জানান, চৌগাছার হাকিমপুর-বারবাজার সড়কে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে চালক জহুরুল ইসলামের। এ সময় আহত হয় অপর দুই আরোহী রোকন ও সজীব। শনিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত ও আহত সকলেই পেশায় নির্মাণ শ্রমিক বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আহত দুইজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
হতাহতের স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে হাকিমপুর বারবাজার সড়কের বজলু মন্ডলের পাকা বাড়ির দেয়ালে একটি বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহুরুল ইসলামকে (২৭) মৃত ঘোষণা করেন। সে হাকিমপুর ইউনিয়নের বেড় তাহেরপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। আহত অন্য দুইজন হলেন নারায়নপুর ইউনিয়নের ইলেশমারি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন (২২) ও একই গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে সজিব হোসেন (১৮)। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় যশোরে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত রোকনুজ্জামানের বড় ভাই স¤্রাট হোসেন জানান, তার ভাইসহ হতাহত সকলেই পেশায় রাজমিস্ত্রি। সকালে হাকিমপুর গ্রামে তারা কাজে যায়। দুপুরে বাড়িতে খাবার খেতে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য আক্তারুজ্জামান মিলন বলেন, ছেলে তিনটি একটি বাজাজ ১০০ সিসি মোটরসাইকেলে চড়ে চরম বেপরোয়া গতিতে হাকিমপুর বাজারের দিকে আসছিল। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি বাড়ির দেয়ালে ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. উত্তম কুমার বলেন, হাসপাতালের আসার আগেই জহুরুল ইসলামের মৃত্যু হয়। আহত দুইজনের মাথা, বুক ও পায়ে বড় ধরণের আঘাত লাগায় তাদেরকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।