এলসি না খোলা প্রতিষ্ঠানের চাল আমদানির বরাদ্দ বাতিল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট-এলসি) খুলতে পারেনি, তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এলসি খোলেনি, তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হলো।
যেসব বেসরকারি চাল আমদানিকারক ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলেছেন এবং ইতোমধ্যে বরাদ্দ পাওয়া চাল বাজারজাত করছেন, শুধু তারা আরও চাল আমদানির জন্য ইচ্ছুক হলে তাদেরকে প্রমাণকসহ (এলসি এবং বিল অব এন্ট্রির কপি) ফের আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। কতটি প্রতিষ্ঠানের কী পরিমাণ চালের এলসি খোলা হয়নি, এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এক লাখ টনের মতো চাল আমদানির এলসি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খোলা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাটি বলতে পারছি না। তবে অনুমোদন দেয়ার পরও যেটুকু চাল আসেনি তা বরাদ্দ পাওয়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো আনতে পারবে।’ খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৩২০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এই অনুমতির চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকের পক্ষে তার ব্যাংক রফতানিকারককে পণ্যমূল্য পরিশোধের যে নিশ্চয়তা দেয়, সেটাই হচ্ছে এলসি বা ঋণপত্র। চাল আমদানির বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এলসি খোলার সময় বেঁধে দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। পরে সেই সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়।