ফকিরহাটে সংবাদ সম্মেলনে জমি দখল করে গাছ ও মাছ লুটের অভিযোগ

0

বাগেরহাট সংবাদদাতা ॥ বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে এক নারীর জমি দখল, গাছ কাটা, পুকুরের মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। নিজের জমি ফিরে পেতে এবং দখলকারীদের বিচারের দাবিতে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল জব্বারের স্ত্রী হেনা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে হেনা বেগম বলেন, বাহিরদিয়া মৌজায় বিভিন্ন দলিলে তিনি ১ একর ৮২ শতক জমি কিনে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ওই জমি বিক্রেতাদের ওয়ারেশ পরিচয়দানকারী বাহিরদিয়া গ্রামের মৃত আরশাদ খাঁ-র ছেলে আলম খাঁ ও তার বাহিনী স্থানীয় পাগল সমিতি নামে একটি সমিতির সহায়তায় ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর তাদের জমি দখল করে নেয়। এ সময় তারা গাছপালা ও পুকুরের মাছ লুট করে। এ ধরনের কাজে বাহিরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। জমি দখলের সাথে সাথেই বিভিন্ন লোকের কাছে আলম খাঁ ওই জমি বিক্রি শুরু করেন। নিরুপায় হয়ে জমি ফিরে পেতে ২০১২ সালে বাগেরহাট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। ২০১৮ সালের ২০ আগস্ট ওই মামলায় তিনি ডিগ্রি প্রাপ্ত হন। সার্ভে কমিশন তাদের জমি বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে তারা জমির দখল নিতে পারেননি। তিন মাস আগে জমিতে পুনরায় বেড়া দিতে গেলে প্রতিপক্ষ হামলা চালায়। হামলায় পরিবারের ৩-৪ জন আহত হন। এ বিষয়ে মামলা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা থানা পুলিশের পর প্রভাব বিস্তার করেন। বাহিরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী তাদের বারবার হুমকি দিচ্ছেন। এই অবস্থায় জমি ফিরে পেতে এবং আদালতের রায় কার্যকর করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন হেনা বেগম। এ বিষয়ে বাহিরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। মামলা চলমান কোনো জমিতে আমাদের প্রভাব বিস্তারের কোনো সুযোগ নেই। এটা আদালতের বিষয়, আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হবে। আমার বিষয়ে হেনা বেগম যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’