সালিশে সংঘর্ষ, প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু

0

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ॥ গ্রাম্য সালিশকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাকা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক ইমরান হোসেন (২৬) মারা গেছেন। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ ঘটনার জের ধরে চারটি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাকা গ্রামের আব্দুর রশিদের লুট হওয়া চারটি গরু আব্দুল মালেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ইমরান হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাকা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের ইন্তার ছেলে আমিন হোসেন গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের টিপুর ছেলে মুস্তাক হোসেনকে (১১) ফুঁসলিয়ে ফরিদপুরে নিয়ে যায়। পরে ওই দিন রাতে পরিবারের লোকজন মুস্তাককে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনা নিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পাকা গ্রামে একটি সালিশ বসে। সে সময় হাফিজ ও বাতেনের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের সংঘর্ষে ইমরান হোসেন ও জীবন নামে দুজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইমরানের অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি কর হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে হাফিজ গ্রুপের সমর্থক ইমরান মারা যান। এ ঘটনায় একই গ্রামের আব্দুল বাতেন, শফিউদ্দীন, আব্দুর রশিদ ও কামরুজ্জামানের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। সদর থানার ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয় এবং লুট করা গরু উদ্ধার করে মালিক আব্দুর রশিদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।