আত্মসাতের মামলায় কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের কারাদণ্ড

0

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা॥ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় কুষ্টিয়া কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদারকে (সিএসআই) দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন। এসময় তাকে ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। দুদকের নিযুক্ত কৌঁসুলী আল মুজাহিদ হোসেন মিঠু জানান, বিজ্ঞ আদালত সাবেক কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদারকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও অপর কোট পুলিশের পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানকে খালাস দেয়া হয়। রায় ঘোষণার সময় দুজনই স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদকের কুষ্টিয়ার সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক শাহার আলী বাদী হয়ে ৬৩ হাজার ২০০ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদার ও কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুষ্টিয়ায় একটি মামলায় ৪৩ হাজার ও আরেকটি মামলার ২০ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা ধার্য করেন আদালত। পরবর্তীতে ওই সময় কর্মরত কুষ্টিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদার ৪৩ হাজার টাকার পরিবর্তে ৩ হাজার টাকা ও ২০ হাজার ২০০ টাকার স্থলে মাত্র ২০০ টাকার চালান জমা করে আদালতে সমুদয় টকা জমা হয়েছে এই বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। পরবর্তীতে আদালতের পক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংক এবং ট্রেজারীতে খোঁজ নেওয়া হলে দুর্নীতির বিষয়টি সামনে চলে আসে। মামলার কার্যক্রম শুরু হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদার এবং অপর কোর্ট পরিদর্শক কায়মুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন দুদক। মামলা দায়েরের পর আসামি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিএসআই মোস্তফা হাওলাদারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আদালত এ মামলার ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। পরে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞ আদালত কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা হাওলাদারকে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি কায়মুদ্দিন খানকে খালাস প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।