জীবননগরে বিএনপির ৪ কর্মীর বাড়ি ও দোকানে হামলা : আলমডাঙ্গায় হামলা পাল্টা হামলা, নৌকা ও মোবাইল ফোন প্রতীকের কার্যালয় ভাঙচুর : আহত ৩

0

রিফাত রহমান, চুয়াডাঙ্গা ॥ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতায় হামলা পাল্টা হামলায় নৌকা ও মোবাইলফোন প্রতীকের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আহত হয়েছেন নৌকার ৩ কর্মী। এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে। অপর দিকে জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির ৩ কর্মীর বাড়ি ও দোকানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবীর জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ায় অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাসদ নেতা এম.সবেদ আলীর মোবাইলফোন প্রতীকের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর শহরের চাতালমোড়, কলেজপাড়া ও শেফা কিনিকের পাশে অবস্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাসান কাদির গনুর অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী কলেজপাড়ার ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ মিডেলের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বাড়ির দরজা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। এ সময় নৌকার কর্মী পৌর এলাকার এরশাদপুরের মরহুম আবুল হোসেনের ছেলে রশিদ, একই এলাকার মরহুম জিন্নাত আলীর ছেলে শাহীন ও জামিল হোসেনের ছেলে বিপ্লব আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ হামলার ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাসান কাদির গনু অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকে নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের সময় রশিদ, শাহীন ও বিপ্লবকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী হাসান কাদির গনু বলেন, লোকজন থানায় মামলা করেছে আমি জানিনা। এ প্রসঙ্গে মোবাইলফোন প্রতীকের প্রার্থী জাসদ নেতা এম.সবেদ আলী অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধাম ও কলেজপাড়ার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে। তাদের কর্মী জাসদ নেতা নজরুল ইসলামের মোটরসাইকেল ভেঙে দেয়। এ ঘটনার বিষয়ে রাতেই আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া এবং রিটানিং অফিসারকে ফোনে অবগত করা হয়েছে।
এদিকে জীবননগর পৌর নির্বাচনে বিএনপির ৪ কর্মীর বাড়ি ও দোকানে বৃহস্পতিবার রাতে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি ধানেরশীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহাজাহান কবীর। তিনি বলেন, নারায়ণপুরের রবি সরদারের ছেলে বিএনপি নেতা আবু বক্কর বকুলের দোকান, একই এলাকার সরকারপাড়ার আফসার আলীর ছেলে বকুল ও নতুন তেঁতুলিয়ার মোংলা মালিতার ছেলে আব্দুল হান্নান ও নেপাল মোল্লার ছেলে আলী কাব্বারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। এ হামলার ঘটনা লিখিতভাবে জানানো হলে জীবননগর পৌর নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.মুনিম লিংকন জীবননগর থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।