সরকার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেয়ার চক্রান্ত করছে : মঞ্জু

0

খুলনা ব্যুরো॥ কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, বর্তমান দুর্নীতিগ্রস্ত হাসিনা সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে বলেই নতুন নতুন নাটক সাজাচ্ছেন। আল-জাজিরা আতঙ্কে আতঙ্কগ্রস্ত সরকার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেয়ার চক্রান্ত করছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতক্ষীরার ৩৪ জন নেতাকর্মী, পাবনায় ৪৭ জন নেতাকর্মীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফরমায়েশি সাজা প্রদান ও দলের বানিজ্য সম্পাদক সালাউদ্দিন আহম্মেদকে অযথা কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক সাংসদ মঞ্জু বলেন, জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান, তার নাকি খেতাব কেড়ে নেয়া হবে। কি কারণে খেতাব কেড়ে নেয়া হবে গোটা দুনিয়া তা আল-জাজিরায় দেখতেই পাচ্ছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নিয়ে খুনিদের খেতাব দেয়া হবে কারণ রাষ্ট্র এখন মাদার অব মাফিয়ার নেতৃত্বে চলছে।
এদিকে বেলা ১১টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসুচির সমাবেশস্থলে সকাল ৯টা থেকেই অবস্থান নেয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। সমাবেশস্থল থেকে ৩ শতাধিক চেয়ার জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এছাড়া নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে ঢুকতে বাধা দেয়। পরবর্তীতে নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ সিনিয়র নেতারা সভাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পুলিশ পিছু হটলে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন মাফিয়ার চক্রের অনুগত হয়ে দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্যরা কাজ করতে পারেন না। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন দেশের কল্যাণে কোনো গোষ্ঠির আজ্ঞাবহ না হয়ে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, সেকেন্দার জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, চৌধুরী নাজমুল হুদা সাগর প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওহেদুজ্জামান রানা।