অনিয়মিত পিরিয়ডস সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া টোটকাতেই করুন সমাধান!

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ আপনি কি সদ্য কোনও রুটিন বদল করেছেন। যার ফলে ঘুমনোর সময় বদলেছে। বা রাত জাগা চলছে কিনা? এই সব প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তা হলে কিন্তু আপনার পিরিয়ডের তারিখ পিছোতে পারে।
আমরা বহুদিন ধরে যে কাজটি যে সময় করতে অভ্যস্ত, সেই কাজটি যদি আমাদের অন্য সময়ে করতে হয় এবং সেটাও আবার হঠাৎ করে, সেক্ষেত্রে আমাদের শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লকেরও সময় লাগবে। যেমন ধরুন, আপনি এতদিন পর্যন্ত রাতে ঘুমতেন। কিন্তু সদ্য কাজের চাপ বেড়ে গেল সেখানে আপনার কাজ রাতেও সারতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনার রুটিনের সঙ্গে শরীরেরও অ্যাডজাস্ট হতে একটু সময় তো লাগবে। যদি এই কারণে আপনার অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, তা হলে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কিছুদিন অপেক্ষা করুন, শরীরকে একটু সময় দিন নতুন রুটিনের সঙ্গে সড়গড় হতে, পিরিয়ড আবার নিয়মিত হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে এই সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন সহজেই। দেখ নিন সেগুলো কী কী
পুদিনা পাতা গুঁড়ো: পুদিনা পাতা শুকনো করে গুঁড়ো করে নিন। এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ পুদিনা পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে তিনবার করে খাবার আগে খান। এভাবে প্রতিদিন খেয়ে যেতে হবে প্রায় কয়েকমাস। অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা কমানোর সঙ্গে পিরিয়ড ক্র্যাম্প কমাতেও এই টোটকাটি অত্যন্ত কার্যকরী।
কাঁচা পেঁপে: কাঁচা পেঁপে জরায়ুর পেশি সঙ্কুচিত করে রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ব্লাড ক্লট পাতলা করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একবার করে দু’-তিন চামচ কাঁচা পেঁপের রস অথবা এক টুকরো কাঁচা পেঁপে সেদ্ধ করে খান কয়েক মাস। পিরিয়ড স্বাভাবিক সাইকেলে ফিরে আসবে। তবে হ্যাঁ,
পিরিয়ডস চলাকালীন কিন্তু কাঁচা পেঁপে খাবেন না।
মৌরি: পি এম এসের সময় অনেকের তলপেটে, কোমরে বা পায়ের পাতায় যন্ত্রণা হয়। এক চামচ কাঁচা মৌরি এক গ্লাস জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন ওই মৌরি-ভেজানো জল ছেঁকে খেয়ে নিন। খালি পেটে সকালবেলা জলটা খেতে হবে। এর ফলে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই। আমাদের শারীরিক অবস্থা থেকে শুরু করে মানসিক পরিস্থিতি এবং পারিপার্শ্বিক অনেক কারণেই ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা অনিয়মিত হতে পারে।