কাল যশোরে দিনমান আগ্রহের আলোচনায় ছিল পৌরসভার নির্বাচন

0

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গতকাল যশোর পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে দিনভর আলোচনা হয়েছে শহরে। নির্বাচন হবে কী না এমন প্রশ্ন ছিল নগরীর বিভিন্ন মহলে। যশোর পৌর নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়েছে এমন একটি খবর মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এর সত্যতা কোনো মহল নিশ্চিত করতে না পারলেও এ নিয়ে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের বেশ বেগ পেতে হয়। দেশের সুপ্রাচীন এ পৌরসভার নির্বাচন সত্যি স্থগিত হয়েছে কী না তা জানতে বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ধ্যার পর লোকসমাজ দফতরেও ফোন আসতে থাকে। তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কোনো সূত্রই নিশ্চিত করতে পারেনি। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মো. হুমায়ুন কবীরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এখনও আমার কাছে এ ধরনের কোনো কাগজপত্র এসে পৌঁছেনি। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন খবর আছে কী না তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় সম্ভব হয়নি। তবে মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদারের একজন ঘনিষ্ট ব্যবসায়ী নেতার সাথে যোগাযোগ করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, তার কাছে খবর আছে ঘটনা পুরোপুরি সঠিক। হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে জনৈক তৌহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সীমানা জটিলতার কারণ দেখিয়ে রিট করলে আদালত তিন মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন। এসময় তিনি হাইকোর্টের ওই বেঞ্চের দুইজন বিচারকের নামও উল্লেখ করেন। ব্যবসায়ী নেতা বলেন, আজ বুধবারের মধ্যে আদেশের কপি জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে এসে পৌঁছে যাবে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। যশোর পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়দার গনি খাঁন পলাশ বলেন, আমিও এমন একটি খবর ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছি। তবে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। খবর যদি সত্যি হয় তাহলে আমরা আইনি পদক্ষেপ নেবো।নির্বাচনে বর্তমান মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর পরিবর্তে দলীয় মনোয়ন নাটকীয় কায়দায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড দলটির জেলা শাখার বর্তমান সহসভাপতি হায়দার গনি খাঁন পলাশকে দেয়। এ সব কারণে শুরুতেই এ পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে গতকাল থেকে নির্বাচন স্থগিতের কথা ছড়িয়ে পড়ে শহরময়।