আন্দোলন দেখতে বাইরে আসুন : কাদেরকে আলাল

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ‘আন্দোলন দেখতে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সরকারি বাসার বাইরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আন্দোলন দেখতে চান? সরকারি বাসা থেকে বাইরে আসুন। পুলিশ ব্যারিকেড ছাড়াই রাস্তায় বের হন। দেখেন জনগণ কী আন্দোলন দেখাতে পারে।’ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ১২ বছর হয়ে গেল আন্দোলন কবে হবে? ওবায়দুল কাদের সাহেব আন্দোলন তো আপনাদের ঘরে শুরু হয়েছে, টের পান না। টের পাচ্ছেন না? আপনার ভাই কাদের মির্জাই তো আন্দোলন। আপনার আত্মীয় নিক্সন চৌধুরী তো আন্দোলন। আপনার শামীম ওসমানই তো আন্দোলন। আপনার যে এসপি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মারে, পেটায় সেটাই তো আন্দোলন। আপনাদের যে এমপি স্বাস্থ্য সচিবকে মেরে পুকুরে ফেলে দেয় ওটাই তো আন্দোলন। আর কত আন্দোলন দেখতে চান?’ তিনি বলেন, ‘এখন টিকা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। দেশের সব জনগণ করোনামুক্ত হোক, এটা আমরা চাই। কিন্তু আপনাদের তো সব জায়গায় দুই নম্বরি। মহিলা দলের এক বোন নাম হচ্ছে সাদিয়া বিলকিস খান। ন্যাশনাল আইডি কার্ড বানানোর জন্য তিনি নাম জমা দিলেন। এই ভুয়া নির্বাচন কমিশন থেকে নাম আসলো সাদিয়া বিস্কুট খান। এই তো দেশের অবস্থা। দেশটাকে তো আজ সেই জায়গায় নিয়ে গেছেন।’ বিএনপি নেতা আলাল আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিকা নিয়েছেন, ভালো কথা তিনি টিকা নিয়েছেন। টিকা নিতে তো কেউ নিষেধ করেনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর টিকা নেয়ার সময় দেখলাম- যত চামচা আর দালাল দাঁড়িয়ে আছে, কোরবানির গরু জবাই করতেও এত মানুষ লাগে না।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অন্যায় ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম মোম প্রজ্বলন কর্মসূচি নিয়েছে। এই মোম প্রজ্বলন মোমবাতি নয়, আন্দোলনের প্রতীক মশাল। এই জ্বলন্ত মশাল দিয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। এটাই হোক আজকের শপথ।’ বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইডল হচ্ছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এটা প্রতিষ্ঠা করেছেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। আজ সেই নারী-শিশুরা পদে পদে নির্যাতিত হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কারণ তাদের পক্ষে কথা বলার মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার কথা বলার সব পথ বন্ধ করা হয়েছে। গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। সুতরাং আজ আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।