মনিরামপুরে বোরহান হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মিছিল ও মানববন্ধন

0

স্টাফ রিপোর্টার,মনিরামপুর (যশোর) ॥ মনিরামপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে পিটুনি দিয়ে কলেজছাত্র বোরহান হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিুব্ধ হয়ে উঠেছেন। দোষীদের কঠিন শাস্তির দাবিতে সোমবারও পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিার্থীরা। কলেজছাত্র বোরহানের সহপাঠীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও দুই স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। রাজগঞ্জ মোড়ে তারা ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। দ্বিতীয় দফায় শিক্ষার্থীরা মিছিলসহকারে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। একই দাবিতে গত রবিবার তারা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে থানা ঘেরাও করেন। তবে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম শিার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, প্রকৃত দোষীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও জানান, কলেজছাত্র বোরহানের পিতা নাইম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে মারধরের একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় নাইমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে বোরহাহনের মৃত্যুর পর ইতোমধ্যে মামলার তদন্তকারী অফিসার মারধরের ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তরের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার এস.আই তপন কুমার নন্দী জানান, হত্যাকাণ্ডে অন্য কেউ জড়িত আছেন কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, পৌর শহরের মোহনপুর এলাকার ট্রেকার চালক আহসানুল কবিরের ছেলে মনিরামপুর সরকারি কলেজের ছাত্র বোরহানুল কবির বোরহান সম্প্রতি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। গত শনিবার সকাল নয়টার দিকে একটি বাইসাইকেল নিয়ে তিনি উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় যান। দুপুর ১২ টার দিকে রাজগঞ্জ-হেলাঞ্চি সড়কের খালিয়া গ্রামের রাস্তার পাশে মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী সন্দেহে কৃঞ্চবাটি গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে নাইম হোসেনসহ অপর এক ব্যক্তি তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা ছিনতাইকারী বলে চিৎকার করলে আশাপাশের লোকজন এসে বোরহানকে বেধড়ক মারধরে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোপর্দ করা হয়। খবর পেয়ে বোরহানের অভিভাবক দুপুর দুইটার দিকে সেখান থেকে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরবর্তিতে তাকে নেয়া হয় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার চরম অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতেই ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা বোরহানকে মৃত ঘোষণা করেন।