কে, এম.আনিছুর রহমান,কলারোয়া (সাতীরা) ॥ কলারোয়ায় আম গাছে ঝুলে থাকা দুই নারী-পুরুষের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হওয়া ঘটনার একদিন পর মূল রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ওই দুই নারী-পুরুষকে হত্যা করে তাদের মরদেহ গাছের ডালে একই রশিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত নারী ফাতেমা খাতুনের (৪০) স্বামী শেখ আহসান ও দেবর শেখ আসাদকে গ্রেফতার করাসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লোহার রড জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে কলারোয়ার শ্রীপতিপুর গ্রামের নিজেদের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাড়ির প্রাচীরের পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রড উদ্ধার করা হয়। গত রবিবার ভোরে বাড়ির ৫০ গজ দূরে শ্রীপতিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বাগানের আম গাছের ডাল থেকে বাক প্রতিবন্ধী শেখ আহসানের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট এলাকার করিম পাড়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাতীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন গ্রেফতাকৃতদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে জানান, নিহত ফাতেমা খাতুনের সাথে শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট এলাকার জয়নাল পাড়ের ছেলে করিম পড়ের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাতে পরিত্যক্ত এক কে তাদেরকে এক সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফাতেমার বাক প্রতিবন্ধী স্বামী ও তার ছোট দেবর। তারা প্রথমে দুজনকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। পরে ফাতেমা খাতুনের গায়ের ওড়না ও গামছা দিয়ে তাদের গলা বেঁধে মরদেহ একটি আম গাছে ঝুলিয়ে দেয় তারা। এ ঘটনায় নিহত করিম পাড়ের বাবা জয়নাল পাড় থানায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে সম হয় পুলিশ।