ডুমুরিয়ায় সুদর্শন হত্যা মামলায় মা ও ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

0

ডুমুরিয়া (খুলনা) সংবাদদাতা ॥ খুলনার ডুমুরিয়ার সুদর্শন রায় (২৫) হত্যা মামলায় মা ও ছেলেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক ইয়ারব হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, ডুমুরিয়ার বিপুল বিশ্বাসের স্ত্রী দ্রৌপদী বিশ্বাস (৪৫) ও তার ছেলে কংকন বিশ্বাস। এ মামলা অপর আসামি বিপুল বিশ্বাসকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, মা ও ছেলেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
মামলার বাদী দীনবন্ধু মন্ডল এজাহারে উল্লেখ করেন, তার ভাগ্নে বটিয়াঘাটার সুকুমার রায়ের পুত্র সুদর্শন রায় (২৫) ছোট থেকেই ডুমুরিয়ার বড়ডাঙ্গা এলাকায় তার বাড়িতে বসবাস করতেন। ২০২০ সালে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার কথা বলে সুদর্শন রায় বাড়ি থেকে বের হন রাত সাড়ে ১১টার দিকে। ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ১২টার দিকে ডুমুরিয়া-মির্জাপুর তিন রাস্তার মোড়ে কালভার্টের অদূরে স্থানীয় তুহিন বিশ্বাসের সাথে সুদর্শনের কথাবার্তা হয়। এরপর তিনি মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দিকে রওনা হন। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা সুদর্শনকে বিপুল বিশ্বাসের বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এজাহারে দীনবন্ধু আরও উল্লেখ করেন, আসামিরা তার ভাগ্নে সুদর্শনকে হত্যার পর লাশ মির্জাপুর গ্রামে পুকুর পাড়ের বেড়িবাঁধের ওপর ফেলে রাখে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে খবর পেয়ে তিনি তার ভাগ্নের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় নিহত সুদর্শন রায়ের মামা দীনবন্ধু মন্ডল ২০২০ সালের ২১ ফেব্র“য়ারি ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন (নং-২৩)। মামলার বাদী দীনবন্ধু মন্ডল বলেন, ‘রায়ে দ্রৌপদী বিশ্বাস (৪৫) ও তার ছেলে কংকন বিশ্বাসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে ফাঁসির আদেশ প্রত্যাশা করেছিলাম।’