যেভাবে দেয়া হবে টিকা

0

লোকসমাজ ডেস্ক॥ ভ্যাকসিন নিতে হলে নাগরিকদের অনলাইনের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এরপর যথাযথ নিয়ম মেনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করা যাবে। একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যদিও এখন শুধু সুরক্ষা ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হচ্ছে টিকা নিতে আগ্রহীদের। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ জানায়, করোনার টিকাদানের জন্য সুরক্ষা অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। এসএমএস-এর মাধ্যমে মানুুষকে কেন্দ্র ও সময় জানানো হবে। এরপর কেন্দ্রে এসে নিবন্ধিত ব্যক্তি টিকা গ্রহণ করবেন। এদিকে, প্রথমে আগ্রহী ব্যক্তিকে স্মার্ট মোবাইল ফোনে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ যেকোনো একটি ডিভাইস থেকে করোনা ভ্যাকসিনের অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর নাম, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পেশাসহ বিস্তারিত তথ্য দিয়ে অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে।
অ্যাপে ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ডিজিটাল কার্ড পাওয়া যাবে। করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারীকে এই কার্ডটি নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে ভ্যাকসিনকেন্দ্রে আসতে হবে। নিবন্ধন করতে একজন ব্যক্তির ৫ থেকে ৬ মিনিট সময় লাগবে। টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক বলেন, ভ্যাকসিন নেয়ার আগে গ্রহীতাকে একটি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। কারণ, যাকে আমরা ভ্যাকসিন দিচ্ছি, তার একটা অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এজন্য একটি সম্মতিপত্র তৈরি করেছি। সেখানে নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, তারিখ, পরিচয়পত্র নং, জন্মতারিখ থাকবে। এই সম্মতিপত্রে স্বাক্ষরের পর সেটি আমাদের কাছে সংরক্ষিত থাকবে। সম্মতিপত্রে লেখা থাকবে করোনার টিকা সম্পর্কে আমাকে অনলাইনে এবং সামনাসামনি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই টিকা গ্রহণের সময়, অথবা পরে যেকোনো অসুস্থতা, আঘাত বা ক্ষতি হলে, তার দায়ভার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী বা সরকারের নয়। সম্মতিপত্রে আরো লেখা থাকবে আমি সম্মতি দিচ্ছি যে, টিকা গ্রহণ ও এর প্রভাব সম্পর্কিত তথ্যের প্রয়োজন হলে আমি তা প্রদান করবো। জানা মতে, আমার ওষুধজনিত কোনো অ্যালার্জি নেই। এছাড়া টিকাদান পরবর্তী প্রতিবেদন, অথবা গবেষণাপত্র তৈরির বিষয়ে অনুমতি দিলাম। আমি স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে এই টিকার উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে টিকা গ্রহণে সম্মত আছি বলেও উল্লেখ করা থাকবে সম্মতিপত্রে। এই সম্মতিপত্রে উল্লেখ থাকা বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে শামসুল হক বলেন, যদি কারো কোনো সমস্যা থাকে এবং এটি যদি কোনো গ্রহীতা না জানিয়ে থাকেন তবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলেও তা আমরা বুঝতে পারবো না। ভ্যাকসিন দেয়ার সময়ে গ্রহীতাকে একটি কার্ড দেয়া হবে। কার্ডটি ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার জন্য নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট টিকাদান কেন্দ্রে এটা নিয়ে আসতে হবে গ্রহীতাকে। ভ্যাকসিন দেয়া শেষ হলেও কার্ডটি সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়া যদি কার্ডটি হারিয়ে যায় তবে সেটি (www.surokkha.gov.bd) পাওয়া যাবে। ভ্যাকসিনেশনের সেন্টার: উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা সদর হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, পুলিশ-বিজিবি হাসপাতাল ও সিএমএইচ, বক্ষব্যাধি হাসপাতালে টিকা দেয়া হবে। টিকা দেয়ার জন্য দেশব্যাপী নির্ধারিত ১ হাজার ৫টি হাসপাতালে এবং ২ হাজার ৪০০ দল টিক দিবেন। একটি দলে ৬ জন সদস্য থাকবে। এর মধ্যে দু’জন টিকাদানকারী (নার্স, স্যাকমো, পরিবারকল্যাণ সহকারী) ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।