কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ)সংবাদদাতা॥ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আশরাফুল আলম আশরাফ। তিনি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভাগ্নে। অপরদিকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন এনামুল হক ইমান। তিনি সাংসদের আপন সেজ ভাই। এ দিকে আশরাফুল ও ইমান আলী সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। ফলে লড়াই হবে মামা-ভাগ্নের। এছাড়াও ৫নম্বর ওয়ার্ডে এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার বড়ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা) মনিরুজ্জামান রিংকু কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ফলে সাংসদের ৩ জন আত্মীয় এখন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থী। তাই এই নির্বাচনে সবার নজর এখন যেমন মেয়র প্রার্থীর দিকেই তেমনি পারিবারিকভাবে একেকজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় চায়ের দোকানে, আড্ডায় সর্বত্রই আলোচনার ঝড় উঠেছে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জ পৌরসভার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, বিএনপির মাহাবুবুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক ইমান। এ ঘটনায় পৌর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ নির্বাচন ঘিরে সমর্থক গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক মহল ইতোমধ্যে সরগরম হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্তে বর্তমান মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আশরাফুল আলম বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, বিপুল ভোটে জয় লাভ করব । বিএনপি প্রার্থী মাহবুবার রহমান বলেন, অবাধ সুষ্ঠ ভোট হলে অনেক ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করব। তবে এ সবের বাইরে সবার চোখ এখন সাংসদের বাড়ির দিকে। সাংসদ কোন দিকে যাবেন ভায়ের দিকে না ভাগ্নের দিকে? তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। আবার সাংসদের বাড়ির থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী তাই সরবে মুখ না খুললেও বিভিন্ন আড্ডা ও চা-খানায় চলছে আলোচনার ঝড়। ইতোমধ্যে চাউর হচ্ছে নানান কথা-কানাঘুষা। তবে সচেতন মহল বলছে পুরো ঘটনা বুঝতে আরো একটু সময় দরকার।